এই যে কিছুক্ষণ আগে যাকে খাটিয়ায় শুয়াইলাম।
শেষ গোসলটি দিলাম।
সাদা জামা গায়ে পরালাম।
সবাই সমবেত হইলাম।
শোক পালন করলাম।
জানাজার মাঠে নিয়ে গেলাম।
একসাথে জানাজার নামাজ আদায় করলাম।
তার সব ভুল-ক্রুটি ভুলে প্রশংসা করলাম।
সবাই হাত উঠিয়ে তার মাগফিরাত কামনা করলাম।
অবশেষে নকশা করা মাটির কবরে রেখে বাড়ি ফিরে আসলাম।
সেও তো আমাদের সাথে ছিলো।
সুস্থ -সবল বা অসুস্থ হলেও সাথে ছিলো।
পরিবারের একজন সদস্য ছিলো।
হাঁটাচলা করেছিলো।
মুখে কথা ছিলো।
ঠোঁটের কোণে হাসি ছিলো।
ব্যথার অনুভব ছিলো।
গল্পের মধ্যমণি ছিলো।
সব বিষয়ে তার আলোচনা, মতামতও ছিলো।
খাবার খেয়ে ছিলো।
পানীয় পান করেছিলো।
উৎসবে আনন্দে মেতেছিলো।
এখন কি তাঁর কোনো অস্তিত্ব আছে?
নেই, কারন সে বেঁচে নেই।
তার কোনরকম উপস্থিতি আমরা টের পাইনা।
তাই তাকে কেউ অনুভব করি না, সে আছে বলে খোঁজও করি না।
হোক সে আমার বাবা, মা, ভাই, বোন, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, প্রতিবেশী অথবা নিকট আত্মীয়!
জীবন সবাইকে রঙিন করে।
আর মৃত্যু মলিন, অস্তিত্বহীন করে দেয়।
কেননা জীবিত আর মৃত এই দুটি শব্দ ছোট হলেও পার্থক্য অনেক?
এই পার্থক্য বুঝতে কঠোর সাধনা আর গভীর জ্ঞানের প্রয়োজন।
যা আমাদের ক্ষুদ্র মস্তিস্কে আমরা ধারন করি না, জানার আগ্রহ দেখাই না।
কেনইবা আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহতায়ালা আমাদের এত সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন?
নিশ্চয়ই তার কারন আছে?
জীবিত মানে ইহকাল আর মৃত মানেই পরকাল।
জীবিত সময় ক্ষনিকের হলেও মৃত্যু পরবর্তী সময় ক্ষনিকের নয়, অনেক দীর্ঘ সময়ের।
মৃত্যু পরবর্তী কবর, হাশর, কেয়ামত আসা পর্যন্ত কতোটা দীর্ঘ সময়ের পথ?
একমাত্র মহান আল্লাহতায়ালা ব্যতীত কারও জানা নেই।