রঙিন ইটের দেয়ালের ভাঁজে
অস্থায়ী এক জীবন,
একদিন নিজে বাড়িটা গড়বে
ভাড়াটিয়া দেখে স্বপন।
ভাড়ার খাতায় লেখা দাগ কাটা
জীবনের সুধা তিক্ত,
বাড়িওয়ালার কন্ঠে তীব্রতা
শূন্যতা ছুঁয়েছে রিক্ত।
ভাড়াটিয়া আর বাড়িওয়ালার
খুঁনসুটি চুক্তি পত্র,
শুধু অর্থের ঠুনকো সেতুতে
সম্পর্ক গুলো ভদ্র।
মাস শেষে শুধু সিঁড়ি বেয়ে ওঠে
কঠিন পায়ের শব্দ,
যে প্রতিধ্বনি ভাড়াটিয়াদের
মনে অস্থির ছন্দ।
দেয়াল গুলোর ইট আর রডে
বাধ্যবাধকতা ছিড়ে,
নিরন্তর যে ছুটে চলা পথে
ভাড়াটিয়া নাম ঘিরে।
আজ এর বাড়ি কাল ওর বাড়ি
সুটকেসে ভরা জীবন,
ভাড়াটিয়াদের যাপিত জীবন
অচেনা থেকেছে স্বপন।
পিছনে’ দরজা দিয়ে হেরে যায়
প্রিয় জানালার আলো,
পুরনো ঠিকানা মুছে স্মৃতির
আড়ালে কুঁচকে কালো।
সিঁড়ি বেয়ে ওঠে নতুন ঠিকানা
পুরনো স্মৃতি ঝুড়ি,
জানালায় ঝরে পড়বে কেবল
পরবাসীদের ঘুড়ি।
কখনো থামবে নাকি যাযাবর
সুটকেসে বাঁধা ঘর?
কখনো মিলবে কি নিজ কড়িতে
নিজের পাতানো ঘর?
আসলে নিজের ঘর বলে কিছু
হয়না বিধির ভবে,
নিজের নিজের বলে ধরা জুড়ে
অস্থির কেন তবে?
আমরা সবাই ভাড়াটিয়া বটে
এই দুনিয়ার মাঝে,
আপন ভিটার দোসর খুঁজতে
কি পুঁজি এনেছো সাঁঝে?
ভাড়াটিয়া মোরা ভিতরে সাগর
বাহিরে আকাশ খালি,
পরকাল পথ চেয়ে আছে পূণ্যে
মেলে স্বপ্ন জালি।
রচনা কাল:-
৭ জানুয়ারি, ২০২৫
(পূর্ণ পর্ব ৬ মাত্রার মাত্রাবৃত্ত, সমমাত্রিক, সমপর্বিক, অপূর্ণ পর্ব অসম মাত্রিক, মধ্যম লয়ের মিত্রাক্ষর ছন্দ।)