তামসী আঁধার কাটিয়ে সাঙিছে রজনী,
ভোরের আলোয় স্নান সারিছে ধরণী।
সোনা রং মেখে গগন জুড়ায় গা,
সবুজে শুকায় শিশিরের ধোঁয়া পা।
ভোরের প্রথম আলো হাসে খিল খিল,
কুয়াশা ধোওয়া পাতা ডগা ঝিল মিল।
ঘাসের ডগার শিশির বিন্দু স্ফটিক,
রূপেই তাহার জাগিছে ছন্দ বাতিক।
অলস লজ্জাবতি গায়ে দেয় টান,
সূর্য সুখের প’শ নিতে ধরে তান।
ফুলেল পাপড়ি সূর্য স্নানে ফুঁটি,
পাখ পাখালির কূজনে সুজনে জুটি।
পাহাড় চূড়ায় প্রথম আলোক ঢাল,
আলোর গলন ভরিয়ে সোনায় খাল।
খালের জলেতে ঢেউয়ের খেলা ঝিকমিক,
সূর্য স্নানে হীরক বালির চিকমিক।
নদীর জলেতে সোনালী আলোর দোলা,
আলোর নাচন ঢেউয়ে বাঁধন খোলা।
মানবতা শুধু ধূস কুয়াশায় আবছায়া,
সূর্য স্নানে শুদ্ধ হয়না তার কায়া।
গোধূলি লগনে ফের গগনের স্নান,
বিদায় জানায় দিবায় আঁধারে ম্লান।
রচনাকাল:-
১৮ নভেম্বর, ২০২৪
(পূর্ণ পর্ব ৬ মাত্রার মাত্রাবৃত্ত, সমমাত্রিক ,সমপর্বিক, অপূর্ণ পর্ব অসমমাত্রিক, মধ্যম লয়ের মিত্রাক্ষর ছন্দ।)