আষাঢ়ে দ্যুলোকে
তমসা মেঘের বারিধারা,
আঁচমকায় অভিমানী স্মৃতিধারা,
টিনের চালাই ঝমঝম শব্দ
অনঙ্গ,
তুমি শুনতে পাও!
বিরহী বেলার
নীলা ব্যথার প্রান,
হঠাৎ  হৃদয়ে রুধক্ষরণ,
কষ্টের মর্মে ধ্বনি
অনঙ্গ,
তুমি শুনতে কি পাও?
সরবোভূকে গৃহ দহিলে
গৃহীর কান্নার রোল,
মর্মে লাগে পড়শী বাড়ির দোল,
এ হীন দশার অসময়
অনঙ্গ,
তুমি দেখতে পাও!
যে বিরহী হুতাশনে
পুড়ছে অভাগী শশীবালা,
যে দুঃখের স্মারকে গেঁতেছি মালা,
এ হীন বেহাল কালবেলা
অনঙ্গ,
তুমি দেখতে কি পাও?
দিবালকের নিরসনে
সকল আভার সমাপ্তি,
অবেলায় তিমিরে ব্যাপ্তি,
সকল কাজে স্তিতি মিলে
অনঙ্গ,
তুমি বুঝতে পারো!
তোমা' বিহনে
সম্পকলির সকল শুক্লা ম্লান,
সপ্নচুরে অন্ত' সবয়ে হান,
তোমা' হীনে শূন্যে আগত
অনঙ্গ,
তুমি বুঝতে কি পারো?
হুতাশনে বন পুড়িলে
বহ্নি শিখা দৃষ্টিগোচর হয়,
কাষ্ঠ সম্পদ হারানোর ভয়,
অনূরুপী হয় পুনর্বাসন
অনঙ্গ,
তুমি অনুভব করতে পারো!
তোমা' বিয়োগে
কালি কলেবর অন্ত'সম উন,
নিপাতে প্রান ভোজী ঘুন,
মহাষৌধ তুমি বিকল্পহীন
অনঙ্গ,
তুমি বুঝতে কি পারো?
শুনতে কি পাও
হৃদয়ের ব্যথা?
যতনে রেখেছি তোমাকে সেথা!
অনঙ্গ ,
শুনতে কি পাও?
তুমি বুঝতে কি পারো?
জানিনা আমি বড্ড সেকেলে,
তাই মরেছি অকালে!
তুমি শুনতে কি পাও?

রচনা কাল:-
৭ আগস্ট, ২০১৫