অন্তরিক্ষে কাল নীরদে নিষ্প্রভ তারকা রাজি,
কালবেলা এসেছে নীল স্মারকে নিসর্গ সাজি।

আগন্তুক জনে কুর্নিশ হানিলো হিয়াপটে,
এলো অলোকে উম্মাদ হলেম ছায়ানটে।

তমসাচ্ছন্ন শুন্যমন নীল কৃশানুর দহন,
অবয়ব জুড়ি ছুরিধারা তবু আলেখ্য বহন।

তোমা’ ব্যপদেশ নীরিক্ষনে অন্তর সম উন,
নিপাতে গেল তোমা' বাগদান স্বপ্নচূড়া ক্ষুন।

শিখর সম নীল স্মারকে শানিতধারা তপ্ত,
অজ্ঞাত তুমি মায়াহীনে মনে কলেবরে শক্ত।

কথা দানে ছিল কত মূর্ছনা কত উপাখ্যান,
বলে গেলে না কি করিলে হিত সম্পাদন।

শূণ্য মন হতাশ ফেরি আরো শূন্যে মিলিলো,
কাল অবেলায় দুঃখের সাগরে সুখ দলিল।

উদগ্রীব তোমা' বিরহে স্মৃতি বিস্মৃতি সরে,
নিবেদিত আমায় ফেলি হেলায় দুখের সরোবরে।

শূণ্য মুনীর শূন্যে ঘর দুঃখ শোকের আলিঙ্গন,
অশ্রু বারি স্বাক্ষর বেনু বনে স্বাক্ষী সর্বজন।

ভূসা কালি হতবল নয়ন জলের ধারাপাতে
বিবশ হলেম তোমা' বিভোরে নীল প্রপাতে।

দুখের বহ্নি সুখ ঘুচিল শূন্য মনের মনোঃস্তাপ,
ভাল থেকো প্রিয় ,সপিবো নাক অভিশাপ।

শূন্য মন  যেন আমার শূন্যের চিলেকোঠা ,
ফুটুক তাতে শতফুল ঝরে যাক থোকা থোকা।

ঘ্রাণ নিয়ে তার হয়ে যাব নির্বিকার- একাকার,
আমি দেবো না তো মোটে চিৎকার।

রচনা কাল:-
২৪ জুন , ২০২৪