অজানা ছন্দে ঢিব ঢিব করে বেড়ে ওঠা কাব্য,
বর্ণনাতীত অনুভূতি তাই ছিল না কোন বাক্য।
কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে মায়ে শত বেদনার মাঝে,
স্বপ্ন স্বপ্ন অনূভুতি নিয়ে নতুন ভাবে সাজে।
প্রজাপতির পাখা মেলে মাছের বাবোল কেটে
ছোট্টটি তুই এপাড় -ওপাড় দৌড়ে ছুটে।
মাঝে মধ্যে তোর দোলনায় উঠত মায়ে দুলে,
মাথাটাও উঠত ঘুরে গা টাও যেত গুলে।
তবু মায়ে থাকতো ডুবে ছোট্টটি তোর ভাবনায়,
তোর গুটি গুটি পায়ের ছবি আঁকতো কল্পনায়।
গাঢ়মোড় ভেঙ্গে পৃথিবীতে অবশেষে তুই এলি,
ধরাপট যেন মুখরিত আনন্দে ভরিয়ে দিলি।
ও আমার ছোট্ট সোনা অবুঝ তোর মন,
জনে জনে জানে তুই মায়ের কত আপনজন।
তোর ভাষা বোঝে মন যা বোঝেনা আয়না,
ছোট্টটি তুই মিষ্টি বেজায় হাজার তোর বায়না।
আয়রে ছোট্ট সোনা আয়রে আমার চাঁদ মনি,
আয় দেখি তোর মুচকি হাসির মুখ খানি।
একটুখানি ছোট্ট মানুষ সারা বাড়ি ঘোরে,
যেন একটা চড়ুই পাখি নীল আকাশে উড়ে।
গুটি গুটি দুটি পায় সারা ঘরময় অভিযান,
দুরন্তপনায় আনন্দ আমার ক্লান্তির অবসান।
আলুথালু দুটি হাতে ঘরে কাজের বারোটা বাজে,
দুষ্ট দুটি চোখে দস্যিপনা সকাল -সন্ধ্যা- সাঁঝে।
ছোট্ট সোনার বাক্যাবলী তোতা পাখির বুল,
ছোট্ট সোনার লতি খালি নেই তো কোন দুল।
কচিমনে চলছে কি খেলা একটুও নেই অজানা,
চঞ্চলা তুই ছুটবি ফিরবি কে করেছে মানা।
ভালোবাসা পরিপাটি এ প্রশান্ত হৃদয় দ্বার,
গোছানো যত্ন - আত্মা তোর জন্য উপহার।
রচনা কাল:-
২৫ জানুয়ারি , ২০২৩