রজনী ফুরোলো আহ্লাদে স্বপ্ন দেখেছি তোমার,
দুরপালে হেঁটে চলে গেলে হাতটি ধরে আমার।
পথ'মাঝে থমকিয়ে থেমে মজিলে প্রিয় পানে,
শিহরিত মন বন্ধ লোচন অভিপ্রায় না জানে।
কামনার আলেখ্যে মনে অবয়ব শিহরিত,
একি গতিক! না করো কুন্তল আলুলালিত।
ঐ দুরে দেখ সখা নিসর্গ পারিজাতে আঁকে,
শুভ্র মেঘাকাশে ও কাশে স্রোতস্বিনীর বাঁকে।
ডাইরি এনেছি দেখ তোমা' প্রেমের তরে,
শেষ পাতায় হস্ত লেখা প্রেমের স্মৃতি সরে।
কালো কাভারে মোড়া কালো লাইনের কথা,
নয় তো ন্যাকা পত্র ছিড়ে তার দিওনা ব্যাথা।
স্বযত্নে সাজানো গোছানো ছোট্ট এ উপহার,
নাইবা ছিড়লে পত্র নাইবা করলে তিরস্কার।
সবুজ কাননে পাতার আড়ালে ডাকে পাখি,
দুরে অচেনা সুরে সরিয়ে নিওনা তব আঁখি।
ঐ লালচে চোখে যে আবেগের ফুল ফোটে,
ছড়িয়ে পড়ুক সুবাস তার দিওনা যেন টুটে।
চলো রাজার কুমার আরো কিছুক্ষণ ছুটি,
প্রেমলীলায় ঐ পথের বাঁকের ধূলায় লুটি।
কাননের মেঠো পথ কচি পাতার গন্ধে আকুল,
বর্ষার সরস জলে স্রোতস্বিনীর একূল-ওকূল।
নিগূঢ় সন্ধিক্ষণে যতই ফুটুক লাল-নীল ফুল,
শুভ্র কর্ণে অযথা কি সেই ঝুমকোর দুল?
চাইনা হীরা -সোনা খোলো ঝুমকোর দুল,
আলিঙ্গনে মোরে কর্ণে জড়াও ঘাসের ফুল।
এ সন্ধিক্ষণে অঙ্গে জড়াও সুবর্ণলতিকা,
কুন্তলে জড়াও শাপলার ঝুল আমি বালিকা।
সময়ের স্রোতে সকাল হতে ভুল হল না,
স্বপ্ন ভঙ্গে আর বাকিটুকু জানা হলো না।
রচনা কাল:-
২৭ জুলাই, ২০১৭ইং