আঁধার কাটিয়ে এক ফালি রোদ হাসে,
স্নিগ্ধ তার ছড়িয়ে বেড়ায় কাশে।
মেঘের আড়ালে সূর্য লুকিয়ে সেঁধে,
সোনা রোদ্দুর ঠোঁট ছুঁয়ে যায় মেঘে।
তপ্ত দুপুরে পদ্ম ফুটিয়ে বিলে ,
স্নিগ্ধতার পরশ বুলায় নীলে।
ব্যস্ত শহরে বিভীষিকা রোদ হানে,
তবুও করুক কমতি কিছুটা বানে।
অবাধ্য রোদেলা অসহ্য দুপুরে গ্লানি,
তবুও ঘুচুক বন্যার্ত মুখে’ ম্লানি।
বৃষ্টির পরে সোনা রোদ্দুর জাগে,
ঘুচবে দুঃখ বানের পানিরা বাগে।
আমার শহরে রংধনু জাগে গগনে,
তোমার শহরে বৃষ্টিরা জাগে সঘনে।
এক বুক জলে ভাসো নেই বাসস্থান,
যাও যাও ফিরে চাও নাড়ি ধরে টান।
জীবন আশ্রয়ে ছুটছো নিরুদ্দেশে,
ঘর ছেড়ে শূন্য হাতে যাযাবর বেশে।
হাজারো মাইল বাগিয়ে একক পলে,
সোনা রোদ্দুর উল্কা ছোটাও জলে।
মেঘেদের কন্যা বন্ধ এবারে হাসি!
হাসিতে তোমার যাচ্ছে মানুষ ভাসি।
মহান রবের সোনা রোদ্দুর ওঠো,
বান ভাসিদের দুঃখ গুলোকে টোটো।
রচনাকাল:-
পহেলা সেপ্টেম্বর, ২০২৪
(পূর্ণ পর্ব ৬ মাত্রার মাত্রা বৃত্ত, সমমাত্রিক, সমপর্বিক, অপূর্ণ পর্ব অসমমাত্রিক, মধ্যম লয়ের মিত্রাক্ষর ছন্দ।)