চিকুর তোমার কুয়াশায় ধোয়া
গলে শেফালির মালা,
নবীন ধানের মঞ্জুরি দিয়ে
এনেছো বরণ ডালা।

শীতের তলপি বহন করিয়া
এনেছো কাশের গুচ্ছ,
গাছের পাতায় রোদের ঝিলিক
নদীতে শাপলা ফুঁটছো।

শরতের নীল পাগড়ীর ছলে
উপরে সোনার কলকা,
হালকা চপলা বায়ু শনশনে
সাদা মেঘেদের হলকা।

ভোরের আলোয় রাতের শিশির
মুক্তোর  দানা সাজে,
মাধবী কামিনী বকুল শেফালী
রূপ মহিমার লাজে।

তাল গাছ তলে তাল পাকা ঘ্রাণে
মাতায় রোদেলা দুপুর,
গুচ্ছ গুচ্ছ দোপাটি সাজায়
চরণে সবুজ নুপুর।

নীল সরোবরে পদ্মের সাথে
হৃদয় মেলিয়া ফোঁটে,
মখমলে বায়ু শিউলি সুবাসে
দূর হতে দূরে ছোটে।

জোসনা রাতের স্নিগ্ধ তারা
সাথে এক ফালি চাঁদ,
ঢেলে দেয় তারা আলোর আদর
মাটিতে সারাটি রাত।

ঝকঝকে রাতে পাখিদের ভ্রমে
ডেকে ওঠে এক কাক,
ভুল করে তারা সোরগোল তোলে
কিচির মিচির ঝাঁক।

রং বেরঙের পাদুকা পরিয়া
মুখেতে প্রসন্ন হাসি,
অনুপম রূপে বৈভব তোমার
মূর্ছনা অবিনাশী।

শরৎ চলেছে ধরণীর পথে
নয়নাভিরাম বুটিদার,
সুগন্ধ পীত উত্তরীয়খানি
ফুল কাঁটা তার উপহার।

রচনা কাল:-
২৪ অক্টোবর, ২০২৪

(পূর্ণ পর্ব ৬ মাত্রার মাত্রাবৃত্ত, সমমাত্রিক, সমপর্বিক, অপূর্ণ পর্ব অসম মাত্রিক, মধ্যম লয়ের মিত্রাক্ষর ছন্দ।)