শব্দহীন ভাষায় মন মাধুরী উড়ে যায়,
অলিগলির বাঁকে সেথায় স্বপ্নরা ধায়।
পক্ষীর হাঁকে ঊষার আলো খুলে দেয় জানালা,
স্বপ্নরা ছুঁয়েছে বিঁধু খুলে হৃদয় তালা।
একা পথিক হারানো পথে শান্তি খুঁজে পায়,
নব্য ধরণী জেগেছে সেথা শ্যাম বৃক্ষের ছায়।
অন্ধকার সেথা জ্বলে ওঠে টুকরো রাতি,
জোনাক জ্যোতি তারার দেশে নব্য আলোক বাতি।
হাসিতে তারা খিল খিলিয়ে চন্দ্র নায়ে ভেসে,
মেঘেরা খোঁজে শূন্যের তল কাশকে ভালোবেসে।
ফুলেরা সবে পদচিহ্ন আঁকে অসীম গগনে,
পত্রেরা ঝরে বকুল হয়ে সুবাস ছুটে সঘনে।
বাঁধন খুলে হাসছে রবি ঘুচে অন্ধকার,
তুলোর মতো পরশ বুলে সুখ ঝাড়ে আবার।
পাথর বুকে রূপ মাধবী উঠছে ফুঁটে রোজ,
মরুর বুকে মিলে হাজার বৃক্ষরাজির খোঁজ।
রুক্ষ বালুর চরে ফলায় সোনা’ বর্ণ ধান,
স্বপ্নের আঁচলে বাঁধে সুখ পরশী গান।
অসীম আশা ভালবাসায় বেঁধেছে শূন্যতল,
আঁধার বুনে আলোক গাঁথা সেজে আলোর দল।
কঠিন সবি বদলে যায় সহজ হয় সূত্র,
শত্রুরা সবে কমল মনে হয়েছে মধু মিত্র।
পাহাড় গাত্র রঙিন হয়ে অঙ্কিত আলপনা,
রংধনুটা স্থির থাকে নিরব থাকে কল্পনা।
আকাশ নামে হাত বাড়িয়ে সত্য ভালবাসায়,
পথের ধূলি সোনা উড়ায় সোনার ঝরনায়।
দুঃখ রূপ নেয় সুরম্য সূচিত্র কারুকার্যে,
চিন্তাগুলো রাস্তা খোঁজে শান্ত নীর রাজ্যে।
একাকী মন ঘুরছে সদা স্বপ্নের অলিগলি,
বাস্তবতা কঠিন বড় স্বপ্নেরা হয় বলি।
মেঘের মতো ছিঁড়েছে সব কল্প খাতা সবই,
ধরণী তব বাস্তবতা মেখে গেঁথেছে ছবি।
কল্পনার জুরি মিলবে হও যদি জান্নাতী।
সুখেরা দল বেঁধে আসবে সেথা অসীম শান্তি।
রচনা কাল:-
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
(পূর্ণ পর্ব পাঁচ মাত্রার মাত্রাবৃত্ত, সমমাত্রিক, সমপর্বিক, অপূর্ণ পর্ব অসমমাত্রিক, মধ্যম লয়ের মিত্রাক্ষর ছন্দ।)