চুপিচুপি এলো সে যে গাঁদা বনে
ঘোমটা ঘরণী সাজে,
আলিসে তাহার পানে চেয়ে থাকি
মনটা বসেনা কাজে।
পুরনো জীর্ণ কম্বলটার
বেড়েছে বেজায় প্রীতি,
তাহার আদরে অলস নয়নে
ভরেছে মধুর স্মৃতি।
কুঁড়ে ঘরটার দরজায় কড়া
নাড়ছে হিমেল হাওয়া,
গরম জুতার নরম পরশে
উষ্ণতাদের দাওয়া।
গবাদি সকলে উষ্ণতা চায়
পাটের নিপুন চটে,
পাখিরা কি তবে আনাগোনা করে
আহার খুঁজছে বটে।
শীতল বক্ষের হারগুলো সব
গরম কাপড় খোঁজে,
পাতা ঝরা বনে কঙ্কাল গুলো
কুয়াশাতে মুখ বোজে।
নগ্ন বিটপি শাখে জমে থাকা
ব্যর্থতাদের স্মৃতি,
পৃথিবী হেথায় থমকে দাঁড়ায়
গাইছে নীরব গীতি।
পাহাড় এখন আরো দূরে গেছে
কুয়াশাতে নীড় ঢেকে,
নদীও এখন চুপচাপ চলে
নিতম্ব তার বেঁকে।
মানুষে মানুষে কোলাহল কম
থেমে গেছে তার গতি,
ডাহুক শালিক ডাকাডাকি করে
হয় যদি তার মতি।
রাতও এখন গভীর হয়েছে
দিবার সময় কমে,
শীতে এসে যেন থমকে গিয়েছে
বরফ হয়েছে জমে।
ধোঁয়া তুলে চলে ধূসর কুয়াশা
পায়ে পায়ে তার জল,
ছন্দ তোলে সে শিশির শব্দে
এই বুঝি তার মল।
সূর্য এখন স্নান সাড়বে
বিহান বেলায় শিশিরে,
চন্দ্র তারাও ভিজে থাকে রোজ
ধূম কুয়াশার নিশিরে।
শীতের কথন শিশির বচন
সকাল বিকেল সাঁঝে,
ঘোমটা ঘরনী এল যে আবার
মনটা বসে না কাজে।
রচনাকাল:-
৮ ডিসেম্বর, ২০২৪
(পূর্ণ পর্ব ৬ মাত্রার মাত্রাবৃত্ত, সমপর্বিক, সমমাত্রিক, অপূর্ণ পর্ব অসম মাত্রিক, মধ্যম লয়ের মিত্রাক্ষর ছন্দ।)