মরণ এসে নাড়ছে কড়া যাত্রা শেষের সুর,
তবুও বাঁশি ডাকছে ট্রেনে ফের বিহানে দূর।

বিচার হবে পুরান দিনে’ নব আনবে রায়,
শেষের বুকে জন্ম নিবে রবি দীপ্তিময়।

চুক্তি শেষে পৃষ্ঠ লেখা খোলে নতুন পাতা,
ভুল ভ্রান্তি টুটেই যাবে বাঁধবে নব খাতা।

শেষ রাত্রিরা বলছে হেসে আলোর ভোর আসবেই,
তপন ফুঁটে জাগবে দিবা আলো আলোয় ভরবেই।

নদীর কথা শেষ যেখানে গল্প বলে কানে,
সাগর সেথা গাট বেঁধেছে শত নদীর টানে।

ঘড়ির কাঁটা যদিও থামে ব্যাটারি যায় ফুরে,
সময় কভু থামে কি আর ছুটছে দুরন্তরে।

পুরান ইটে গড়ে ভবন ঝলমলে তা শোভাতে,
শেষের মাঝে গড়ে উঠেছে আশ্রয়খানা প্রভাতে,

দরজা কারো বন্ধ হলে অতীত রবে পিছনে,
নব দ্বার খুলবে তব নব সুরের গানে।

অস্তগামী সূর্য বলে ফিরবো আমি কাল,
আঁধার এসে কাড়বে আলো জাগে তারার পাল।

পুরান পাতা ঝরার শেষে ফোঁটে নতুন কুঁড়ি,
চলার পথে রেখার মাঝে উড়ে নতুন ঘুড়ি।

ধরার বুকে শীত কাঁপন পাতা ঝরার গান,
বসন্তরা উষ্ণ বুকে ছোটে ফুলের ঘ্রাণ।

আগুন ছাই স্মৃতি হারে তবুও থাকে আশা,
শেষের ভিতর শুরু খোঁজে নতুন ভালোবাসা।

শেষের কাব্য শুরুর গান অতীত যেন কবিতা,
সব শেষেরা করবে শুরু জাগবে নব সবিতা।

ইহকালের জীবন বটে মৃত্যুর মাঝে শেষ,
পরকালের চমক শুরু এতো আরেক দেশ।

ঐ কেয়ামত নাড়ছে কড়া জীবন মাঝে রোজ,
নেই তো কিছু শেষ গল্প আলোর দিশা খোঁজ।

রচনাকাল:-
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪

(পূর্ণ পর্ব পাঁচ মাত্রার মাত্রাবৃত্ত, সমমাত্রিক, সমপর্বিক, অপূর্ণ পর্ব অসম মাত্রিক, মধ্যম লয়ের মিত্রাক্ষর ছন্দ।