শরৎ রানীর রূপের বাহারে প্রাণ ভরে যায়,
প্রকৃতি জুড়ে গগনে বায়ে নানা রূপ শোভা পায়।

সবুজের লীলা দুচোখে মেলে কমল মায়ায়,
মন হারায় শীতল ছায়ায় হিমেল হাওয়ায়।

শরতের নিবেদন খোলা মাঠে- সবুজ ঘাসে,
কচি ধানের পাতার গন্ধে অভিনন্দিত ফুল কাশে।

কল্পলোকের গল্প নয় রূপক কথার ছন্দ নয়,
শরৎ রানীর  রূপের কদর যৎসামান্য নয়।

বর্ষার শেষে শারদ চলেছে হিমন্তেরও ডাকে,
স্নান সেরে সবুজ শাড়িতে পানির কলসি কাঁখে।

শরৎ রানীর রূপের পরশে শিউলি শেফালী ফোঁটে,
শ্যামলিমায় আরো কত ফুল কোড়ক টোটে।

স্রোতস্বিনী শোভা পায়  শাপলা-পদ্ম ফুঁটি,
বিটপী শাখে দোয়েল-শ্যামা-পাপিয়ার জুটি।

ঝরে পরা শিউলিমালা স্নান সারে শিশিরে,
মুক্তোর দানা যেন আরো কত রূপ সরোবরে।

শারদীয় রজনী বেলা গৌরিক বর্নে সাজে,
ভাবাপ্লুত হৃদয় মেতে ওঠে নিপুন কারুকাজে।

শূন্যলোকে ভিড়ে সাদা মেঘ থোকা থোকা,
শরতের গগন জুড়ে  হর্ষ-পুলোকের ঘনঘটা।

গগনে হেরি মেঘমালা-রৌদ্রের লুকোচুরি ,
প্রভাতে এক রূপে রাঙ্গা গোধূলি সালমাচারি।

শেষ হয়েও হলো না শেষ শরৎ রানীর গল্প কথন,
তাই শুরু থেকে শেষ তারে ছন্দে করেছি যতন।

রচনাকাল:-
৭ অক্টোবর ,২০২১