জোয়ারের শেষে ভেসে আসা এক
ভাঙা শামুকের খোলস ,
যেন চাপা পড়া এক গল্পের
শেষাংশ হারা জৌলুস।
তুষারের পথে পায়েদের ছাপ
সময়েরা মুছে দিয়েছে,
যত্নে প্রকৃতি নিজের কোলেতে
আদরে আগলে রেখেছে।
কাল রোদে পোড়া সাগরের ঢেউ
কুয়াশায় বাঁধা গোধূলি,
যেখানে হাঁটেনি কেউ পথ ভুলে
হেঁটেছে রাঙ্গা বধূলি।
সেই পাহাড়ের গভীর অরণ্যে
এক পাতা পড়ে থাকে,
লেখা নেই তবু ধ্বনিত কথা
ভাসে পৃথিবীর বাঁকে।
ফুটপাতে রাত কাটানো শিশুর
পুরনো কাঁথার ভাঁজে,
শৈশব স্মৃতি লুকে থাকে সেথা
নতুনের মত সাজে।
কৃষকের কায়ে চৌচির হাত পা
কে জানে কঠিন মানে,
কখনো লিখিত নয় ইতিহাসে
ক্ষেতের মাটি তা জানে।
তারই পা দেয়া রাস্তায় শিশু
রাখে ক্ষুধার্ত সকাল,
অলিখিত ক্ষণ অলিখিত জল
জিতে যায় শুধু আকাল।
পুরনো বইয়ে’ পাতার গন্ধে
সময় আটকে আছে,
ভাঙা দেওয়ালে’ ফাটলে শ্যাওলা
আলোর যতনে নাচে।
দীর্ঘ প্রহর গুণে বুনে যায়
এক অলিখিত কবিতা,
সময় গড়েছে কিন্তু তবুও
ওঠেনি জ্বলে সবিতা।
সময়ের বাঁকে বাঁকে লিখে যায়
চুপিসারে কত ইতিহাস,
পৃথিবীর অলিখিত পৃষ্ঠারা
হয়না আকাশ বাতাস।
নতুন দিনের অপেক্ষা করেছে
এ নিঃশব্দ কথা,
হৃদয়ের কাঁচে স্বচ্ছ হয়েছে
তুচ্ছ হয়েছে যথা।
রচনা কাল:-
১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫
(পূর্ণ পর্ব ৬ মাত্রার মাত্রাবৃত্ত, সমমাত্রিক, সমপর্বিক, অপূর্ণ পর্ব অসম মাত্রিক, মধ্যম লয়ের মিত্রাক্ষর ছন্দ।)