ওই কাজল ধোয়া আঁখি করছে ছলছল,
নোনা জলে কাজল কালি করছে টলমল।

ওই জলে আঁকছি আমি তোমা’ প্রতিচ্ছবি,
ক্ষণে ক্ষণে বাড়ছে প্রেম হচ্ছি প্রেমের কবি।

তোমার চোখে দেখি যেন আকাশের সঞ্চয়,
শব্দের ভেতর বুনি আমি হারানোর ভয়।

বুকের ভেতর বাজে সুর অচেনা ব্যথার,
তবু ভালোবাসি তোমায় ওই স্বপ্ন কথার।

চোখের পলে লেগে থাকে না বলা যত টান,
তোমায় দেখে হৃদয় গায় নিঃশব্দ গান।

নীরব ভাষায় খুঁজে ফিরি প্রেমের ব্যাকুলতা,
চোখের তারায় লুকিয়ে রাখি অচেনা সব ব্যথা।

কাজল চোখে হয়েছে জড়ো প্রেমের মিছিল,
প্রতিটি শ্বাস জানান দেয় তারই তাফসিল।

বুকের ভেতর প্রেমের নুপুর বাজে নিরন্তর,
ইচ্ছে! তোমায় নিয়ে পাড়ি দিতে তেপান্তর।

ওই চোখের পাতায় রচে যাব স্বপ্নময় গান,
প্রতিধ্বনি তুমি হৃদয় কাননে ও প্রিয় জান।

কাজলের নিচে লুকাই কত শত অভিমান,
তোমার স্পর্শেই পাই শতত শান্তির সন্ধান।

তুমি নও শুধু প্রেম—তুমি এক অনুভব,
যার প্রতিটি ছোঁয়ায় জেগে ওঠে প্রেম সব।


রচনা কাল:-
৭ এপ্রিল, ২০২৫