এসো তোমার পা ধুয়ে দেই শিশির ভেজা ঘাসে,
শীত মাতনে সুর তুলেছে আমার বাংলাদেশে।
ঢেঁকির তালে গান ধরেছে পাড়াতো বোন তুলি,
আদর মাখা মুঠোয় ভরে গড়বে পিঠা পুলি।
উনুন ঘরে এক চিলতে আদর মাখা সুখ ,
টুকরো প্রেমে টান ধরেছে রাঙিয়ে তার মুখ।
রসের হাড়ি খেজুর ডালে লোভ ছড়িয়ে হাকে,
সুখ পরশে একটুখানি মিষ্টি রোদ মাখে।
রোজ বিহানে চায়ের কাপে মুচকি হাসে চুমু,
দোলে শিশির সবুজ পাতে করিছে টুলু মুলু।
সরিষা বালা নুইয়ে গলা ধরে শীতের গান,
শীতে প্রেমের পরশ বুলে শিশির করে দান।
নিশি রাইতে টপাস টপ শিশির পরা শব্দ,
আটকে থাকা একলা ঘরে স্মৃতি করে জব্দ।
রাত্রি শ্বাসে রক্ত কালো জমে দীর্ঘশ্বাস,
আঁধার ধরে গলায় চিপে রুদ্ধ নিঃশ্বাস।
ঘড়ির কাঁটা শব্দ ঠুকে ছলকে ওঠে শোক,
গভীর শোকে ধরার বুকে ঠোকর মারে জোঁক।
অনুভূতিরা তোরণ খোলে সাজে স্মৃতি বাসর ,
অশ্রু সিক্ত পোড়া নয়ন দুঃখ ঢালা আসর।
ফের বিহানে ধূস’ কুয়াশা আলিস মাখা ভোরে,
জমিয়ে রাখা আদর পাতে বাঁধে প্রেমের ডোরে।
ধূস’ চাদরে সূর্যি মামা আড়ালে আড়ে বাড়ে,
দক্ষিণ গাঁয়ে গাও হেলিয়ে সূর্যি সোনা ঝাড়ে।
শির শিরিয়ে কাঁপন তোলে উত্তরী বায় গায়ে,
আরো আলিস জাপটে যায় পৌষ বুড়ির পায়ে।
রচনাকাল:-
২৫ নভেম্বর, ২০২৪
(পূর্ণ পর্ব পাঁচ মাত্রার মাত্রাবৃত্ত ছন্দ, সমমাত্রিক, সমপর্বিক, অপূর্ণ পর্ব অসমমাত্রিক, মধ্যম লয়ের মিত্রাক্ষর ছন্দ।)