নারী অনন্যা, কঙ্কাবতী,
অবোলা, চপলা,চঞ্ছলা হরীণি,
সুখের সন্ধানে দুখের গহরে
খুঁজি ফিরি দিবানিশি।

নারী তনয়া, আদুরিনী,কামিনী,
মমতাময়ী মা,কামনার প্রণোনয়ী,
আপনারে করে পর
মানবের সহধর্মিণী।

নারী প্রেমী, প্রেমের সাধনা,
প্রেমময়ী, প্রেমের বাসনা,
মানবের দু' চোখের জ্যোতি
কর্মের প্রেরণা।

নারী সুধা, নারীই পত্নী,
জগত সংসারে যোগ্য কর্তৃী
বিদেশ বিভুঁই পার
মানবের সহযাত্রী।

নারীই সম্মান, সুন্দর এ সৃষ্টি,
মায়াবী মূর্তি, জগতের মান,
তারই বিরহে জেগে ওঠে
না বলা বিষের বাণ।

সেই নারী জন্মলভে
পৃথিবীর 'পরে,
অযত্নে অবহেলায়
আঁতুর ঘরে ।

বাবা তার বার দ্বারে
ছেলেরে সরে,
এ কেমন অভ্যর্থনা তার
ধরণী ' পরে।

অবলা এই নারীর
পদচারণার আগমন,
হয়েছে কি কভুও
সাদরে শুভক্ষণ ।

নারী কি ওরে, মানুষ নয় রে!
কিসে বা থাকিবে দুধ- ভাতে,
অর্ধেক খালি, অর্ধেকই জোটে
প্রতিসাঁঝ- প্রতিপ্রাতে।

নারী কী পেয়েছে কভুও
তার ভাইয়ের মতন,
তাচ্ছিল্য করে সবাই
না করে যতন।

এক পা, দু পা করে
ফুলে আগমন,
রসনার হাতছানি
বিরহী স্বপন।

কৃষ্ণচূড়ার রঙ্গজীবক
রজনী জাগে লেলীহান,
বাঁধ ভাঙা ঢ়েউ কূলে টান টান
ঠুসে ওঠে অনুরাগী বাণ।

মানবের ছলনায়
কাতর নারী,
বুঝতে না পারে তার
কৌশল - ছলচাতুরী।

বুঝাতে না পারে
বোকা, ময়ূখমালী নারী
বরশী ফেলেছে তার
আদুরে দেবযানী।

আদর'পরে গিললো টোপ
হায়রে সর্বনাশী ,
জগত'পরে মান ভাঙ্গবে
হবে কলঙ্কিনী।

সঁপি কায় -মন
মিটিয়ে প্রেমের সাধন,
তবুও পায় না নারী
নিষ্ঠুর মানবের মন।

বৃদ্ধ বয়সের অবোলা
সর্বহারা নারী,
কিবা শুনবেন আর
সেই দুখীনির জীবনী।

জীবনের অংক
মিলা বড় ভার,
আপনাকে বিলিয়ে হয়নি সাধন
আর নেই কিছুই হারাবার।

দেহতরী তার শুকিয়ে গিয়েছে
এসেছে খরা,
ফুলোবনে বসন্তের সমাগম
হয়তো সারা।

হতভাগী নারীর কপালে
এইকি ছিল লেখা,
এইকি নিষ্ঠুর জগতলীলা
এইকি দুনিয়ার ধারা।

মানি না! আমি মানবোই না!
এইসব ছলচাতুরী,
হও আগুয়ান, হও হুশিয়ার
ও দুনিয়ার নারী।

ও দয়াময় মালিক খোদা
তুমি অন্তর যামী,
কবুল ফরমাও, কবুল ফরমাও!
নারীই সাধনা,নারীই সম্পদ
নারীই সবচেয়ে দামী।

হে দয়াময়,
দান করো নরগণে হেদায়াত,
সরি জনেজন -নারীই তোমার সৃষ্ঠ নিয়ামত ।
নারী আশরাফুল মাখলুকাত।

রচনা কাল:-
৮ মার্চ, ২০১৪