কালো কালো চোখে চেয়ে আর হওনা বুঝি মুগ্ধ,
এই ভাবনায় আনমনে কতো যে হয়েছি দগ্ধ।
গোধূলি নীলাম্বরীতে কত কাল সাজা হয়না,
খোঁপায় গোজো ফুল আর ধরনা তো বায়না।
টোল পড়া গাল আর বুঝি ভালো লাগেনা,
হাসলে তোমায় মধুর লাগে কতদিন হলো বলনা।
শত অভিমানে মুখ চেপে বালিশ ভিজিয়ে কাঁদি,
সময় বদলে গেছে কেমনে হৃদয় বাধি।
ষাটের কাছাকাছি মধ্য বয়সী এক নারী,
সন্তান সন্ততি, ঘরবাড়ি, স্বামী সবই তারই।
কালো চুলের গোছাই সাদা রঙ্গে পাক ধরেছে,
এই অবেলায় ভালোবাসায় জং পড়েছে।
এই সব ভেবে ভেবে যতই হৃদয় ভার হয়,
বুঝে গেছে সে আর কারো রাঙ্গা বৌটি নয়।
যে কথা শুনতে মধুর ঝংকারে বাজনা,
শত কোটি বার শোনা স্বর প্রেমময়ী আর না।
নির্ঘুম চোখে এপাশ ওপাশ রাতে কেউ বুঝে না,
ভালোবাসা আর আগের মতো মধুর থাকে না।
যে যেভাবে ভালো থাকে থাক সে তেমনটাই,
বুক ভরা কষ্ট নিয়ে দুঃখ এঁকে লাভ নাই।
কষ্ট মনে ছলছল চোখে হৃদয় ভাঙ্গা কাঁচে,
আর একটা পত্র লেখি নিজেই নিজের কাছে।
চায়ের কাপে চুমু এঁকে মাথাটা বুঝি খুললো,
বয়সী নারী মান ভেঙ্গে বাস্তবতায় চোখ মেলল।
মান অভিমান ভেঙ্গে ভালো থাকা বেশি প্রয়োজন,
সময়ের দামে মন মিলিয়ে মান না করি অকারণ।
বাসন্তী দুপুরে তপ্ত উদাসীন না হই আর ভীষণ,
মন ভাঙ্গা অভিমানে আর না হই বিভীষণ।
রচনা কাল:-
৩০ মার্চ,২০২২