তোর গালের টোলে জেগে ওঠে সোনার ভোর,
জমে সেথা হৃদয় ঝুরা ভালোবাসার ঘোর।
সেই গালের টোলে আমিই ডুবে থাকি খুব,
আদর ভরি খুব যতনে স্নেহ রঙা রূপ।
তোর চিতার থাবে নিজেকে তোর মুঠে ভরি,
যেন আলাদিনের চেরাগ দানি আমি তোরই।
তোর চোখের মনি স্বপ্ন উড়ায় জানি,
হাসিতে তোর ভরে ভবন ওরে সোনা মনি।
তোর সুখের পাহারাদার রাত দিন জাগি,
শত কষ্ট সহে তোরই স্বপ্ন আগি।
আমার আঙ্গুলে তোরই আঙ্গুল বেরি,
নাটাই ধরি উড়ে যেন স্বপ্নের ঘুড়ি।
টলোমলো চলনে চরণের পরশ রাঙি,
পিছলে ভুল খোপে খোটে সবুজ পোকা গাঙি।
বায়না কত শত কাটবে খোকা সোনা ধান,
চন্দ্র কাস্তে মা আনে চাঁদ করেছে দান।
যদি একটু কাঁদে জল ফোঁটা একটু বাড়ে,
আঁচলে সুখ বেঁধে আবেগী মা ছুটছে তেড়ে।
মা মা ও মা হাক ডাক সারা বাড়িটা জুড়ে,
মা তার সেথা ভরে দরদ হৃদয়টা খুঁড়ে।
নিজেকে ভেঙে গড়ে মা তার ছোট লাল চাঁদ,
চাঁদের সুখে বিলে নিজেকে পূর্ণ করে সাধ।
ফোকলা দাঁতে ফোটে হাসি মায়েরা ভোলে দুখ,
লাল চাঁদ মায়ের কোলে এক চিলতে সুখ।
রচনা কাল:-
৬ জানুয়ারি, ২০২৫
(পূর্ণ পর্ব সাত মাত্রার মাত্রাবৃত্ত, সম মাত্রিক, সমপর্বিক, অপর্ণ পর্ব অসমমাত্রিক, মধ্যম লয়ের মিত্রাক্ষর ছন্দ।)