প্রাণে বাজে গুন গুন গুণ,
কোন কাজে নাহি বসে মন।

ঘুম হারা দুটি চোখে ঝুম,
কোথায় যে হারিয়েছি ঘুম।

প্রকৃতি যে হাত গুটে বসে,
অথবা সে ঘুমিয়েই গেছে।

সুদূরেই চেয়ে আছি শূন্যে,
কি যে মায়া তরু ছায়া বন্যে।

আষাঢ়ের পথ ধরে বর্ষা,
শ্রাবণের যত রূপ ভরসা।

অবেলায় কাজ নাহি হাতে,
চেয়ে আছি দূরে শূন্য পানে।

ঝমঝম ঝরে বারি ধারা ,
বাঁশ বনে বায়ু ধায় সারা।

জনহীন নৌকা বাধা ঘাটে,
লোকে ছোটে গৃহেরই বাটে।

আরো কালো মুখ করে মেঘ,
নদী খানি ভরভর দ্যাখ।

শ্রাবণের ঘন মেঘে চাঁদ,
আড়ালেই ডুবে থাকে সাধ।

রবি মামা মেঘে লুকে মুখ,
আলিসেই খোঁজে ফিরে সুখ।

সজল এ বর্ষার দিনে,
বেদনারা সুর তুলে বীণে।

সন্ধ্যারা নামে ফিরে চায়,
চরণের জল রেখে যায়।

সন্ধ্যার তারা মেঘে লুকে,
পিছনেই দাঁড়ায় যে শোকে।

মৃত্যুঘন আঁধারের রাত,
শোক রুন বেদনা বিরাত।

ভেজা রাতে তারা গেছে বনে,
শ্রাবণের ঝড়ো সমীরণে।

অবেলায় কারে পড়ে মনে!
ভেজা তারাদের পরশনে।


রচনা কাল:-
২ জুলাই, ২০২৪


(পূর্ণ পর্ব চার মাত্রার মাত্রাবৃত্ত, সম পর্বিক, অপূর্ণ পর্ব অসম পর্বিক, মধ্যম লয়ের মিত্রাক্ষর ছন্দ)