পালাবদলে হিমন্তরাজ মিটিয়ে তার আস,
নিসর্গে মৌনতা মেলে সৌন্দর্য করি হ্রাস।
হিম বুড়ির আগমন চাঁদর মুড়ি দিয়ে,
বৃক্ষশাখে ঝরে পাতা হারালো বনের টিয়ে।
বৃক্ষশাখে নেই আর সবুজের নুপুর,
কুয়াশায় নীল আকাশ সকাল - দুপুর।
মাঠের সোনালী ধান এবার চাষীর ঘরে,
কৃষাণীর মুখে দেখ মিষ্টি হাসি ঝরে।
গ্রাম সাড়া পড়লো তাড়া বাজবে কাঁসর,
নবান্নেরই উৎসবেতে জমবে আসর।
সরষে ফুলে লাগলে হাওয়া মনটা ওঠে দুলি,
খেতে দারুণ বেশ লাগে শীতের পিঠা-পুলি।
শীতের দিনে রসিক বেজায় সবার সূয্যি মামা,
রৌদ্রে পুড়ে শীতল কায় পড়ি শাহনামা।
শীতের সকালে দারুণ মজা খেতে খেজুর রস,
প্রতি চুমুকে মজায় মজা পানে হৃদয় বশ।
যাই বলি আর যাই করি ছন্দে মায়ায় থেকেই,
শীতের আছে দারুন মজা শীতল রাতে লেপেই।
ঘরের চালার ফিনকি দিয়ে আসে যখন হাওয়া,
লেপই তখন সবচেয়ে আপন এযে অসীম পাওয়া।
লেপ জড়িয়ে দারুণ মজায় রাতটা ভালই কাটে,
সকাল হলেই ছুটে যাই অনুন ঘরের বাটে।
অনুন ঘরে ব্যস্ত মা বানায় পিঠা পুলি,
আদর মাখা যত্ন হাতে বানায় সবগুলি।
রচনা কাল:-
২ ডিসেম্বর, ২০১৫