আমার ভেতর বসত করে অচেনা এক লোক,
ডাকে আমায় নিভৃতে করে নীরব শোক।
চোখের আয়নায় চেহারা তার মলিন দ্বীপ,
প্রবৃত্তি টানিলে শতত দেয় সে আমায় ধিক।
গোপন সে চাঁদ জলের গভীরে রাখা মানিক,
নীরব ভাষায় ডাকে সে আমায় নিরবধিক।
আলো-ছায়ার মাঝে ছায়া একটু ছুঁতে পারি,
গভীরে আরো গভীরে চিনতে আসল আমি।
ভুলে গেছি হারিয়ে গেছি অন্ধকারের আড়ালে,
তবুও চাঁদ ধরা দেয় খুব কাছে হাত বাড়ালে।
পথের মাঝে ঝাপসা কুয়াশা ছেয়ে গেছে বনে,
শুধু মায়া প্রলোভন পথ ভুলে, ব্রত ভুলে মনে।
অবাক চোখে চেয়ে থাকি হঠাৎ দূরের ডাকে,
কানপাতি আরো গভীরে সুযোগ পেলে ফাঁকে।
গভীরে আরো গভীরে কে যেন করে আঁকিবুকি,
ফের আমাকে নতুন করে সাজিয়ে দেয় উকি।
ফের আমাকে চিত্রিত করে নব রং তুলিতে,
সত্যের নূরে কমল হৃদয় বুলবুলিতে।
সত্যে আলোকিত করে অন্ধকার আমাকে,
বিধাতার নূরে নূর ঝরে পড়ে ছিন্ন শাখে।
মানবতাকে ধর্ম বলে হায় শিরকে জড়ালে,
মানবতাকে ধর্ম বানিয়ে আপন ধর্ম হারালে!
গভীরে আরো গভীরে লুকানো মানবতা,
সে কোন ধর্ম নয় ইসলামের গুণের নামতা।
পরিশুদ্ধ তাতে হৃদয় জমিন মিলে পূর্ণতা,
ঈমানের আলো ঘুচায় কালি শত জীর্ণতা।
গভীরে আরো গভীরে ভিতরে মানুষ খুঁজি,
অচেনা আমাকে খুঁজে পেতে সত্যে চোখ বুজি।
পেয়েছি আমি পেয়েছি গভীরে আরো গভীরে,
ভিতরে আছে আসল আমি খাঁচার এই শরীরে।
রচনাকাল:-
২১ মার্চ, ২০২৫