গোধূলি লগনে হলদে হিজল
পরশে জুড়ায় প্রাণ,
পরতে পরতে চোখের পলকে
আকাশে রঙের বান।

এই লাল নীলে আকাশ ভরেছে
কোথাও ধূসর ধায়,
কমলা হলুদে জোটন বেঁধেছে
মিষ্টি মধুর বায়।

পশ্চিমাকাশে রঙেরই মেলা
ছায়া তার নদী জলে,
গগনে এমন সূর্যলোকের
ছন্দপতন চলে।

গোধূলির রং তুলি জুড়ে আঁকা
হল কত ছায়া ছবি,
কলমের কালিতে ভরবে খাতা
কবিতা লিখবে কবি।

গোধূলি মায়ায় মনটা মজেছে
গোধূলি বড্ড ডাকে,
মন ক্যানভাসে গোধূলির ছবি
গোধূলির রঙে আঁকে।

গোধুলি লগনে সূর্যের মনে
অভিমান জড় হয়,
সেই অভিমানে আনমনে চলে
তেজস্বিনীর ক্ষয়।

ক্ষনেকে গোধূলি বিলিয়ে নিজেকে
মিলায় সন্ধ্যা রাতি,
গোধূলির শোক ভোলা জোনাকিরা
জ্বালে আলোর বাতি।

গোধূলি তুমি যে ক্ষণিক হেসেই
চলে যাও বারে বার,
গোধূলিরা যায় রাঙিয়ে বেড়ায়
ফের ফিরে আসে আবার।

এমন লগনে একাকী গগনে
খুঁজি যে সন্ধ্যা জ্যোতি,
সন্ধ্যা হলেই জাগবে তাহার
ঘরে যে ফেরার মতি।

রচনা কাল:-
৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

(পূর্ণ পর্ব ৬ মাত্রার মাত্রাবৃত্ত, সমপর্বিক, সমমাত্রিক, অপর্ণ পর্ব অসমমাত্রিক, মধ্যম লয়ের মিত্রাক্ষর ছন্দ)