কাঁধে পণ্যের বোঝা মুখে মিষ্টি মধু’ হাসি,
ভিতর কাঁদে নীলে চোখ জোড়া আগুনে ঝলসি।

নিঃশব্দ পায়ে ফেরিওয়ালা হেঁটে যায়,
কাব্যিক সুরে ডাকে খদ্দের হাকে সেথায়।

পোটলা তার বহে ফুল ফল সবজি মিষ্টি,
বেবি খেলনা গুলো নজর কাড়ে ক্রেতা’ দৃষ্টি।

বহে শীতল পাটি বাঁশের বাঁশি আর কাঁথা,
বক্ষ মাঝে লালন করা দুঃখ শোক ব্যথা।

কাঁধে নিয়ে ছোটে সে সাদা তুলোর মেঘ মিঠে,
কত শিশুর স্বপ্ন নিয়ে ঘুরছে পিঠে।

ঘন্টার টুংটাং ভরাট কন্ঠে হাক,
ছোট্ট পায়ে ছোটে শিশু শুনে দূরের ডাক।

ধূলো বালির পথে আশা কুড়ে জাগায় আনন্দ,
কন্ঠে তার কত যে রং বেরঙের ছন্দ!

ফেরিওয়ালা যায় স্বপ্ন কুড়ায় পথে,
একটু আশা খোঁজে ক্রেতার হাসি খুশি তটে।

দুই বেলার দুই মুঠো খাবার যদি জোটে,
খুশি আর ধরে না আগুন মুখে হাসি ফোঁটে।

একটু সুখে’ আশা খোঁজে শহরের অলিগলি,
বিক্রি যদি না হয় তবে স্বপ্নেরা হয় বলি।

পথের পাঁচালী এ সব ফেরিওয়ালা মানুষ,
কারুকার্য আনে বোলে তাই রঙিন ফানুস।

অলীক স্বপ্নে জীবন করে পার বটে,
অল্পে খুশি তারা দিন এনে আহার খুটে।

কত মানুষে তাকে আবিষ্কার করে হীন,
একদিন যায় না তাদের অবজ্ঞা বিহীন।

নানা পণ্যের মাঝে সে দুঃখও ফেরি করে,
কথার ভাঁজে মুড়ে সে যে কষ্ট লুকে মরে।

মানুষ সে তো বটে হোক না সে ফেরিওয়ালা,
বিধাতার খেল কে বোঝে কালকে কার পালা!

মানুষে মানুষে থুতু ছোড়াছুড়ি কবে শেষ?
বিবেকেরা কবে বলবে কথা ভুলবে দ্বেষ?

কবে ঘৃণা বদলে যাবে ভালোবাসার মিছিলে,
নিন্দা বুলি কটু কথা ভুলে শান্তি’ অনাবিলে ?

রচনা কাল
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

(পূর্ণ পর্ব সাত মাত্রার মাত্রাবৃত্ত, সমপর্বিক, সমমাত্রিক, অপূর্ণ পর্ব অসম মাত্রিক, মধ্যম লয়ের মিত্রাক্ষর ছন্দ।)