শীতল পরীর আঁচলে নয়ন ঢাকি,
গোপন কাঁদুনি বিরহের চুমু আঁকি।
দীঘল রাতের স্পর্শে প্রেমা জাগি,
অন্ধকারের গভীর তূর্য লাগি।
আলোর সময় চুরি করে নিয়ে নিশি,
শীতল সৈন্যরা রাত্রি পাহারায় আসি।
কুহেলিকা আঁকে আবছায়া আলো আলেয়া,
দীঘল রাতের স্পর্শে আসে কালিয়া।
দারুচিনি মন ঝাঁজ তোলে কুহুকিনি,
দীর্ঘশ্বাসে স্মৃতির ছিনিমিনি।
জাদুর আঁচলে কুহেলিকা বাঁধে সব,
আসলে তো সেই লুকোচুরি খেলে রব।
আড়ালে সূর্য হারালো আলোর চাঁদ,
সব ঢেকে দিয়ে কুহেলী পেতেছে ফাঁদ।
পাখিদের গান সাঙ্গ হয়েছে সুরে,
রাতের আঁধারে কুহেলিকা মিশে দূরে।
কখনো হয়না শেষ রাত্রি এক ঘুমে,
বরফ গলানো স্মৃতিরা ওঠে জমে।
শোকের গভীর পদচিহ্নরা দাগে,
শীতল আঁধার একাকার হয়ে জাগে।
কুহেলি উত্তরী তলে হেথা পৌষা ধরণী,
দীঘল রাতের গল্প শোনায় তরুণী।
নিস্তব্ধতা তবু ফোঁটে ফুল ডালিয়া,
সুগন্ধ ফেরি করে ডেইজির তানিয়া।
রচনা কাল:-
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪
(পূর্ণ পর্ব ৬ মাত্রার মাত্রাবৃত্ত, সমমাত্রিক, সমপর্বিক, অপূর্ণ পর্ব অসমমাত্রিক, মধ্যম লয়ের মিত্রাক্ষর ছন্দ।)