আজকের জন্মদিনে নেই পিঠা-পায়েশ-পুলি,
ফুলের সুবাস নেই জ্বলে না মোমবাতি গুলি।

ঘরের মেয়ে পরের ঘরে বধু বেশে আছি সেথা,
সখ মিটে না আদর 'পরে বাস্তবতা ভরা যেথা।

মাইক্রোওয়েভে ওয়েভ গাইডে ভেসে এলো কথা,
দুখিনী মাতা খায়নি পায়েশ নিয়ে নিদারুণ ব্যথা।

কত্তো স্মৃতিরা পাখনা মেলে যায় দিন নাকি ভাল,
পুরাতন গেছে নতুনে ঢেকে এসেছে যে দিন কাল।

ছেলেবেলার স্মৃতি গুলো  মনে খাচ্ছে লুটোপুটি,
ভাবছি আমি সেই থেকে সব হেসেই কুটিকুটি।

কত করেছি টানাটানি ভাই জানের শার্টটি নিয়ে,
মাথায় পাগড়ি গড়েছি বুবুজির ওড়না দিয়ে।

দুষ্টামিতে সেরা ছিলেম পাড়ার সকলে জানত,
সেই মেয়েটাই মিষ্টি বেশি এটাও সকলে মানত।

ছেলেবেলার দিন গুলো আজ পড়ছে মনে বেশ,
কচি মুখের মায়ায় স্নেহা ছিলনা কোন ক্লেশ।

বাবা মায়ের আদরের সেই ছোট্ট হীরামনি,
অতি আদরে ডাকত যারে ছোট্ট সোনামনি।

মিষ্টি করে হাসতো যখন গালে পরত টোল,
সেই হাসিতে ভরত ভুবন ভরত মায়ের কোল।

ছেলেবেলার পাঠশালা জাগিয়ে তুললো স্মৃতি,
খড়িমাটি হলো কবিতার খাতা রচে যাচ্ছি গীতি।

ছাত্রী ছিলেম ভালোই বটে তবে দুষ্টামিতে সেরা,
বিচারকার্যে দেখা যেত আগে এই আমার চেহারা।

একবার হলো কি!মারামারি করে পরলো দাগটা,
আমার নাতো ফাটিয়ে ছিমলাম ফটিকের নাকটা।

পাঠশালার দেয়াল' মাঝে আছে কত গল্পগীতি,
মন'মাঝে তা আজিকে হয়ে আছে শুধুই স্মৃতি।

মৃদুলা হাসিতে ভাবছি সেদিনের খেলা লুকোচুরি,
মহোদয়ও ছিলেন যিনি ডাকতেন আমায় বুড়ি।

একদিন হলো কি!বৃষ্টি জলে মাঠে পানি থৈ থৈ,
ছাতা ছাড়া মাঠে পড়লাম নেমে ধরতে বানের কৈ।

কৈ মাছ কোথা নেইতো সেথা ভিজে হলাম কাদা,
বাহানা ছিল বটে তবে কে দিবে আমায় সাজা!

ছেলেবেলার বাঁশ ঝাড় তলে ঝর ঝরে পাতা পড়ে,
খেলা ঘর ছিল ঐখানে আজ বড্ড বেশি সরে।

বিকেল হলেই সোরগোল সেথা কচিকাঁচা মুখ,
ঐ খেলা ঘরে সংসার পেতে কত লুটেছি যে সুখ।

হঠাৎ আমার পাগলী দাদী সোরগোল তুলে আসে,
সবাই তখন করে পলায়ন তার ভয় আর ত্রাসে।

ছেলেবেলার বানানো কত মায়ের হাতের পুতুল,
আদর করে পরাতাম তার কানে ঝুমকোর দুল।

লাল শাড়ি পরাতাম চিরুনি করতাম কাল চুল,
চুলে গড়তাম খোপা তাতে জরাতাম ফুল।

আজ আমার জন্মদিন ,আজ আমার জন্মদিন,
বছর ঘুরে এলো আবার আমার জন্মদিন।


রচনা কাল:-
১৭ মার্চ, ২০১৮