নব্য চাঁদকে তোমরা দেখ নদীতে সাদা পাল,
আমি তো দেখি না দেখি শিশু’ বুকে পাঁজর শাল।

মেঘ গুলোকে তোমরা দেখ শুভ্র ঢেউয়ে মাত,
আমি তো দেখি না দেখি আমি দুঃখ জমা আঘাত।

পূর্ণ শশীকে তুমি দেখ রুপ্য থালার পিঠ,
আমি তো দেখি না দেখি আমি পোড়া রুটির মিঠ।

তারা গুলোকে তোমরা দেখ আশা’ আলোর সিন্ধু,
আমি তো দেখি না দেখি আমি হতাশ ফেরি বিন্দু।

ফুল গুলোতে তোমরা পাও সুবাস ভরা গন্ধ,
আমি তো পাই না পাই আমি পচা ঘামের স্কন্ধ। ।

তোমা’ গগনে রবি জেগেছে ঝলকে আলো ভালো,
আমা’ গগনে সূর্য ওঠে শরীর পুড়ে কালো।

নামটি আমা’ গরিব চাষা তুমি ধনির দুলাল,
আমাকে মাড়ি দিনের শেষে তুমি জেগেছ হেলাল।

তোমার ঘর বানাতে আমি মাটির পোড়া ইট,
আমার বক্ষ ক্ষত করেছ নিজে থেকেছ ফিট।

রোজ রোজই তুমি আমায় বানাও পথে’ ধূল,
নিজে সেজেছ রাজার রাজা আমার পায়ে শূল।

আমা’ সুরমা করেছ চুরি পড়েছ চোখে কাজল,
সোনালী ক্ষেত আমার ছিল তুমি পেতেছ আঁচল।

আমা’ ভাঙ্গা ঘরের ইট তোমা’ দালান গড়ে,
আড়ালে তুমি বুকের ক্ষত রাখ আমার মুড়ে।

সাধক আমি যুগ জনমে সবাই ভালো জানে,
কালো চাষায় দেশটা গড়ে তাও সবাই মানে।

রোজ বিহানে আশার পানে ছুটছি আমি চাষা,
কাদা জলের ঘোলে লুকাই দুখ ব্যথার ভাষা।

আমা’ ইচ্ছে গুলো শক্তি সাজে মাটির গহীন,
বক্ষ পাঁজর উপরে তুলি তবুও আমি হীন।

আমা’ রক্তরা নৃত্য করে কৃষ্ণ কায় বন্দনা,
তবু ঘুচেনা দুঃখ আমা’ হৃদয় মাঝে যন্ত্রনা।

রচনা কাল:-
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

(পূর্ণ পর্ব ৫ মাত্রার মাত্রাবৃত্ত, সমমাত্রিক, সমপর্বিক, অপূর্ণ পর্ব অসমমাত্রিক, মধ্যম লয়ের মিত্রাক্ষর ছন্দ।)