দেখেছো চাঁদের আলো দেখনি চাঁদের পিঠে অন্ধকার,
প্রতিটি হাসির পিছে আছে দীর্ঘশ্বাস চিত্ত বিকার।

মুখে আলো ঝরে তবু মনে রাখা অভিমানী কিট,
ছুঁতে কভুও পারে না আড়ালে থাকা শীতল পিঠ।

আলোরা ঠিকরে যায় সব পৃথিবীর এক দিক,
অন্ধকার বিরহে গায় গান অন্যদিকে ঠিক।

নীরব বেলাভূমিতে ধ্বনিত প্রশ্ন ভেসে থাকে,
এক টুকরো অদৃশ্য হাহাকার রূপরেখা আঁকে।

চাঁদের পিঠের এই অন্ধকারেরা করে হাহাকার,
এটাই প্রকৃতির অন্তরঙ্গ রহস্য নির্বিকার।

এই অন্ধকারেই মোরা সবে জন্মেছি সেদিন,
এই অন্ধকারেই আমরা হাঁটবো পথ যেদিন।

একটি জানা অজানা পৃথিবীর চিহ্ন বুকে চলা,
সূর্যের খুব কাছে তাপের দাপটে সব গলা।

পাথরের চুম্বন সেথা ছায়া হয়ে ঢেকে যায়,
পাহাড়ের বক্ষ মাঝে সমুদ্র শব্দ গহীন বায়।

মেঘের ভিতর ভেসে থাকা অশ্রু সমূহ সম,
একে একে চাঁদ করে গোপন তাদের নৃত্য ঝম।

অন্য দিনের অপেক্ষা যেখানে অতীত হারে কূলে,
একটা সময় কুড়ে অস্থির বিভ্রান্তি ভুলে।

তবুও চাঁদের পিঠে অন্ধকার থাকবে নির্বিকার,
যেথা বেদনা হারে না রক্তাক্ত স্মৃতি’ সুরকার।

দুঃখ স্পর্শ করা দীর্ঘ যন্ত্রণার পথ,
কূলে অনুভূত হয় স্রোতের খরতার সম ক্ষত।

যে পথে ম্লান হয় সব আলো পুরাতন ভাবনা,
সেই পথের কিনারে নব ভাবনার আলো আলপনা।

শুদ্ধ আলোতে যারা স্পর্শ করে নব পৃথিবী,
আলোর পৃথিবী যেথা আঁধারে বিলিন হয় সন্ধিবী।

রচনাকাল:-
১০ জানুয়ারি, ২০২৫

(পূর্ণ পর্ব আট মাত্রার মাত্রাবৃত্ত, সমমাত্রিক , সমপর্বিক, অপূর্ণ পর্ব অসম মাত্রিক,‌ মধ্যম লয়ের মিত্রাক্ষর ছন্দ)