আজি বাদলের দিনে বিটপী কিশলয়
দোলে চঞ্চল মনে,
আয় সখি ভিজি ছুটি-ফিরি
কে কার কথা শোনে।
আজি বাদলের ধারায় দেখ সখি চেয়ে
বিটপী পল্লব নবরুপে সাজে,
আসমানী দামিনীতে দুলকি দেয়া
খেয়ালী মনে নতুনের বীণ বাজে।
আদিপ্রাতে খালি ধারাপাতই ছিল
এখন দেখ বইছে সরুৎ,
হিসেবের খাতা নাইবা মেলিলে
চলো দলাদলি করি শূন্য মরুত।
আজি বাদলের দিনে খেয়ালি মনে
চলো মেলি সুখে ডানা,
পিছন ফিরো না বেদনার পিছু টান
আজ শুনবোই না কারো মানা।
আজি বাদলের দিনে তৃণোর সাথে
মাতিবার অভিলাষ,
চলো সখি ভিজি মন আনন্দে
চলো করি বৃষ্টি বিলাস।
ঈক্ষে সখি বাদলের ধারায়
তৃণোর নব সাজ,
চলো মাতি, করি বৃষ্টি বিলাস
পড়লে পড়ুক বাজ।
চকিত হিয়া দামিনী চোটে
তবুও সাধ জাগে,
শ্রাবণ বেলায় সুখটাকে আজ
পেলাম বুঝি বাগে।
চল সখি ,চল কুন্তল লেলি
দুখ তফাতে সুখটাকে খুঁজি - ফিরি,
আয় সখি আয় ,খালি পায়ে আয়
করিস না আর দেরি।
আজ মালিন্য সব ঘুচিয়ে
টুটে যাক মনের কালি,
আনকোরা সব স্বপ্ন নিয়ে
মেলুক স্বপ্নজালি।
ঈক্ষে সখি নিসর্গরাজে
কি অপরূপ তার শোভা,
চকিত হিয়া তবুও বলি
শোভা তার দেঢ় বেড়ে দেয় ক্ষণপ্রভা।
সবুজের চাদরে কাঁচা রং মেলি
কি শোভাময় দীপ্তি,
দৃষ্টি অপলক আলেখ্য ইক্ষে
মনের পরতে তৃপ্তি।
চল সখি ভিজি, না করো দেরি
নতুনে রে করি সৃষ্টি,
আজি বাদলের দিনে মেঘমালা ডাকে
ডাকে শ্রাবণের বৃষ্টি।
রচনাকাল:-
৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬