আকাশ কাঁদে মেঘে মেঘে গুড় গুরিয়ে ,
কাঁদি যে আমি শোকে তাপে গুন গুনিয়ে।
বিরহ ক্ষণে নাইবা হলে ব্যথাতুর,
প্রিয়ার সাথে প্রেম কারনে শোকাতুর।
তোমা' অনাদরে রুধক্ষরণ হৃদয়,
প্রেমের কারনে প্রিয় না হলে সদয়।
তাপিত অন্তর জাগে না আনন্দে,
না রোচে শার্লির ওদন সানন্দে।
কিসে এতো কোপ অরি ওগো মোর ওলি,
ভালোবেসে রোস কোপ যত দাও বলি।
এরুপ হেরিলে জুড়াবে গো মন আঁখি ,
সুজন আমার সোনার ময়না পাখি।
সুনিপুনেই গড়া সদৃশ কলানিধি,
এত ব্যথাভার কেমনে ভুলিবো বিধি!
কষ্টের কৃষাণু দহন শতপল,
কালিসম দুখে রাঙা ছিল উৎপল।
এ বুকে গঙ্গা চোখে তার আধো বৃষ্টি,
কষ্টের কাঁটা বুকে তোমার সৃষ্টি।
বিরহেরই আভা তারই চোখে মুখে,
বিরহেই অটবী পাতারা ঝরে দুখে।
রজণী কাটে আশীবিষে নীলা শ্বাসে,
ঘুমের ঝুম পাড়ায় স্মৃতিরা আসে।
স্মৃতিরা ভুজঙ্গ ভোজেই সারাক্ষণ,
বিকট খড়গে স্মৃতির কালক্ষণ।
তোমা' বিরহে রচি গাঁথামালা কৃষ্টি,
কষ্টে' চূড়া অঝোর ধারার বৃষ্টি।
বিরহীনি যত রচি গাঁথার কবিতা,
জ্বলি শতপল রক্তিম সবিতা।
মৌল তোমার না বিদিত হে সুকুমার,
না বিদিত সুকুমার তোমার প্রকার।
অবলম্বন ভাবি ভঙ্গরে শিকার,
আজি এ বক্ষ তাপিত চিত্তবিকার।
বেদনায় কাটে বিরহের কালবেলা,
দুঃখে হৃদয় চুরচুর সারাবেলা।
বিরহ ছুঁয়ে থাক স্মৃতি ভান্ডার,
তবুও তুমিই মোর সুখসম্ভার।
বৃষ্টি স্নানে গোধূলি' তরু সবুজ,
তোমারই প্রেমে অন্ধ আমি অবুঝ।
রচনা কাল:-
২৫ জুন, ২০২৪