গগন তলে তাল মিলিয়ে কে গো চরে,
ক্ষণেক ক্ষণে শুভ্র পরশ বায়ু’ ভরে।
এদিকে যায় ওদিকে যায় তালে তালে,
বিবাগী মেঘপুঞ্জ গুলো কোন ভালে ।
দেয়ার বুকে চুপিই চুপি আঁকে ছবি,
যত্নে গড়া ঝলক ছবি মুছে সবি।
কখনো সাদা কখনো কালো মেঘে মেঘে,
গুড়ুম গুড় ডাক ছাড়িয়ে থেকে থেকে।
কখনো সাদা কখনো কালো মেঘ ভেলা ,
ভাসিয়ে ভেলা ডিঙিয়ে ডিঙ্গি গড়ে বেলা।
কখনো কালো মেঘপুঞ্জ ভূতে’ ছানা,
গুড় গুড়ুম ডাক ছেড়েই মেলে ডানা।
জটলা পেকে ফোঁস ফোঁসিয়ে দেয় হানা,
বিবাগী মেঘ কড় কড়িয়ে তোলে ফনা।
জটলা পেকে মাঝে মাঝেই থাকে চুপ,
তালে তালেই কত যে রং কত রূপ।
বায়ুর সনে বলে যে সেই কত কথা,
হঠাৎ করেই ওদিক ছুটে যে অযথা।
মেঘের ‘পর মেঘের বাড়ি কত মায়া,
বিবাগী মেঘ মেঘের ‘পর দোনো ছায়া।
কোন খেয়ালে ভেসে বেড়ায় কোন ছলে,
বায়ুর সনে কান টানিয়ে কথা বলে।
আলো আঁধার ঝুল ঝারিয়ে ঘুচে যায়,
ফের গগনে ভ্যাল ভ্যালিয়ে ফিরে চায়।
রচনা কাল:-
৬ জুলাই , ২০২৪
(পূর্ণ পর্ব পাঁচ মাত্রার মাত্রাবৃত্ত, সমমাত্রিক, সমপর্বিক, অপূর্ণ পর্ব সমমাত্রিক, মধ্যম লয়ের মিত্রাক্ষর ছন্দ)