হে আমার চোখ, কেন করো বেইমানি?
লুকিয়ে তাকাও, ভাঙো সব ঈমানের বাণী।
চেয়ে থাকো জুলফের ছায়া, চোখের কাজল,
তোমারই কারণে জ্বলবে জাহান্নামের অনল!
তুমি কি জানো, তোমার এই লুকানো দৃষ্টি,
একদিন গিলে খাবে সব সঞ্চিত পুণ্য সৃষ্টি?
পথের ধূলোয় যে শিশুটি পড়ে আছে কাঁদে,
তাকেও তো তুমি ফেলো লোলুপ দৃষ্টির ফাঁদে!
হায়, সে তো ছোট্ট কন্যা, আয়েশা, আছিয়া,
কেন তোমার চোখে জাগে কু-প্রবৃত্তির হাসিয়া?
শিশুর মলিন মুখে কেন এমন তৃষ্ণা জাগে?
তোমার চোখ কি তবে শয়তানের হাতে লাগে?
পথে চলার মেয়েটি, যে পর্দায় আবৃত দীপ্ত,
তাকেও কেন দেখো তুমি কামনার দৃষ্টিতে লিপ্ত?
তার শরীর ঢাকা, তবু কেন হৃদয় উন্মাদ?
চোখের পাপ কি ধুয়ে দেবে যমুনা নীলনদ?
হে চোখ! একটুও কি অনুশোচনা হয় না মনে?
তোমারই কারণে যে ঈমান ধূলিসাৎ হয় গুণে?
কত পুণ্যের আলো নিভে গেল অজান্তে,
তবু কেন থামো না, কেন থাকো না সংযমে?
জানো কি, তোমার এই লুকোনো দৃষ্টি অন্তরে,
তোমাকে নিয়ে যাবে জাহান্নামের তপ্ত গহ্বরে?
যেখানে চোখ গলে যাবে লাল আগুনে,
চিরকাল জ্বলবে তুমি, মুক্তি মিলবে না জীবনে!
ফিরে এসো, থামাও এখনই তোমার এই পাপ,
নচেৎ অনুতাপের আগুনে পুড়বে রবে অভিশাপ।
হে বেইমান চোখ! ফিরে এসো সততার কাছে,
নচেৎ চিরকাল জ্বলবে অনুশোচনার কাঁচে!
রচনা কাল:-
১৮ই মার্চ, ২০২৫
(আট বছরের শিশু আছিয়াকে উৎসর্গ করে লেখা....
তাকে ভালোবেসে, তার অপমৃত্যুর প্রতিবাদে.....
খাতার পৃষ্ঠা কলমের খোঁচায় ক্ষত করলাম কাপুরুষদের জন্য!)