স্মৃতিরা বয়ে চলে স্রোতে ভোরের নরম আলোয়,
রুপা’ জল চিকচিক করে মায়ার বাতাস পালোয়।

ঢেউয়ের কানে ফিস ফিস পুরোনো দিনের গান,
চূড়া বেয়ে নেমে আসে পাহাড়ি শিশির ভেজা প্রাণ।

নদীর গহীনে রয় কিশোর বেলার কোলাহল,
আকাশ ছুঁয়েছে যেথা কচি স্বপ্নে উড়ে জল।

বেদনার জল ঘন কালো ডুবে থাকা এক ছায়া,
নদীর কূলে আছড়ে পড়ে অশ্রু ব্যথা’ নীল কায়া।

নদীর বুকেই খুঁজে ফিরি সেই অতীতের সুরভি,
স্মৃতি’ ঢেউয়ে মিশে যায় ব্যথা অলিখিত কবি।

খরস্রোতা এক রাতে’ শেষে বাঁধ ভেঙে যায় মন,
কোন সুদূরে রইল ডুবে সেই না বলা যন্ত্রণ।

জোয়ার এল হঠাৎ করে মন উচ্ছল হাসে,
নদীর দু’কূল দিল মিলিয়ে ভালোবাসার ফাঁসে।

নৌকা ভেসেছে দু’চোখ জুড়ে স্বপ্ন’ ঘাটের পাড়ে,
ভালোবাসার উষ্ণে দুঃখ ভাসে জলের অসাড়ে।

পদ্মফুলের মতো হৃদয় জলের বুকে দোলে,
ভালোবাসার ঢেউও তবে কূলে এসে ভাঙে বলে।

শেষ বিকেলের সোনা রোদ কাঁপে নদীরই বুকে,
সমুদ্র ডাকছে এসো আমারে আশার সুরে হাঁকে।

নতুন ভোরে প্রথম আলো জল কচলিয়ে নাচে,
অনুভবের নদীর চলা শেষ হয় না কখনো যে।

চোখের কোণে সূর্য নামে আঁচলটা ভিজে যায়,
তবু নদী বয়ে চলে জীবনের গান শুধু গায়।

রচনা কাল:-
৮ ফেব্রুয়ারি,  ২০২৫


(পূর্ণ পর্ব আট মাত্রার মাত্রাবৃত্ত, সমমাত্রিক, সম পর্বিক, অপূর্ণ পর্ব অসম মাত্রিক, মধ্যম লয়ের মিত্রাক্ষর ছন্দ।)