আমি খাবো না গো সখা খাবো না ওদন,
না দেখে সখা তোমারই সোনা বদন।

মনোজ গো আমা'  কিসের এতো কোপন
ইলা তোমার ঈক্ষে তোমার স্বপন।

নিবেদিত আমাকেই ফেলিলে হেলায়,
দূরে ঠেলি কটাক্ষ করি অবহেলায়।

উম্মাদ আমি প্রকৃতিই দিবে সাক্ষ্য,
মনোজ গো আমা' কেন দাও প্রতিবাক্য?

নীল কষ্টের দহনে উৎপেড়িত,
অনঙ্গ করো আমায় উত্তেলিত।

আবেগের তটেই উপচে পড়া জল,
নেত্র কিনারে  শোকে জলে টলমল।

চিকুর সম অন্তর  বিরহ সরে,
কাজল কালি ঢলে গন্ডদেশে’ 'পরে।

গোসা না করি এসো হে আমার দ্বারে,
নিবদিত তোমায় ডাকি হে বারে বারে।

জ্যেষ্ঠী সারা আষাঢ় এলো ফুলোশর ,
কটাক্ষ কর হে আলুলায়িত এবার।

কোকিলের ডাকে মুখরিত ফুলোবন,
তুমিই প্রিয় আমা' সাধনার মদন।

এসো প্রাণের মনোজ করি আহ্বান,
আলুলায়িত করো মনের ব্যবধান।

কি হেতু দুরে জানাও  পুষ্পধন্বা,
ইলা তোমারই গো প্রেমের আরাধনা।

নির্ঝরিণী রাগে তও্বাবধায়ন,
নাশ করি গোসাই করো অনুধাবন।

বিরহে কালি হলো সোনার কলেবর,
চাঁদ সায়রেই বেদনার সরোবর।

কৃষ্ণচূড়ার ডালে রঙ্গ রাশি রাশি,
নিসর্গ পারিজাতে শোভা পায় ভারি।

শম্পা সেজেছি বিজলির ছায়ালোকে,
মালতিরা আজি লাজ ভুলে দিবালোকে।

নীরদ সম বনিতা রোসে অনুরাগে,
প্রিয় তুমি হে রোস না ভুলো অনুতাপে ।

তুমি বিশ্রুতি আমার প্রেম কাননে,
উদ্ধতি নাশে নিরীক্ষা করো হে মনে।

মনোজ গো আমা' আমি করি আহ্বান,
প্রেমের জন্য আলুলায়িত  ব্যবধান ।

রচনা কাল:-
২৩ জুন ,২০২৪