হয়তো নিজেকে নতুন করে জানবার জন্য,
বা নিজের মধ্যে থেকে অন্য এক আমিকে খুঁজে পেতে,
কারণটা যাই হোক না কেন?
সে কিন্তু উজাড় করে মেলে ধরেছিল রঙিন দুটি পাখা।
উত্তরের হওয়া তাকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছিলো নতুন দেশে।
প্রজাপতি খুঁজে পেয়েছিলো নতুন এক বাগানকে।
ঘন সবুজ আর সূর্যের আলোয়ে ঢাকা এমন এক বাগান যা এত দিন ছিল তার কল্পনা।
স্বপ্নময় বাস্তাবকে তাই বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে,
শীতের হিমেল হাওয়ার তালে তাল মিলিয়ে সে নেচে উঠেছিল এগাছ থেকে ওগাছ।
কখনও আবার একাত্ম হয়ে গেয়ে উঠেছিল জীবনের জয়গান।
পূবের সূর্য ক্লান্ত হয়ে পশ্চিমে বিলীন হয়ে গেলে সে তার ডানা দুটিকে মেলেদিত সবুজ গাছের ওপর।
গাছের সাথে তার নিবিড় সম্পর্কে হিংসা হল হওয়ার।
গাছেরা সময়কে বলল, প্রজাপতিকে নষ্টকরে দাও, কেড়ে নাও তার রূপ, রঙ সম্পদকে।
সময়ের জটিল নিয়মে বাধা পড়ল প্রজাপাতি।
সাত রাঙা পাখা ঝরে পড়লো, প্রজাপাতি রূপান্তরিত হল শুঁয়োপোকাতে।
প্রজাপাতির নতুন রূপকে দেখে গাছেরা ভয় পেয়ে উঠল।
তারা মিনতি করল হাওয়ার কাছে।
চৈত্রের দামকা হওয়া এক পলকে শুঁয়োপোকাকে মাটিতে মিশিয়ে দিল।
হাওয়া থেমে গেলে গাছেরা দেখল শুঁয়োপোকা আর নেই, সেই বাগানের এক প্রান্তে পরে আছে আর দেহ।
আর বাগান ভরে গেছে ফুলে, যেই ফুলের মধ্যে মিশে আছে প্রজাপাতির পাখার রঙ, আশা, ভালবাসা, স্বপ্ন।