চলার পথটা একেবারে সুগম ছিল না ঠিকই,
তবে এই পরিণতিটা বোধ করি কেউ চাইনি।
সময়কে সাক্ষী রেখে দুজনেই একদিন দেখেছিল নতুন কে জানার স্বপ্ন,
শুরু করেছিল নতুন জীবন।
পায়ে পা মিলিয়ে রওনা দিয়েছিল অজানা পথের উদ্দেশ্যে।
অন্ধকার সেই পথে হোঁচট খেয়ে আজ দুজনেই দু-মুখ।
পরিস্থিতির করাল গ্রাসে বিলীন হয়ে যাওয়ায় সম্পর্কের নজীর মাত্র।
ঘৃণা বা ভালোবাসা- মধ্যেকার পরিচয়টা যাই হোক না কেন,
একে অপরের প্রয়োজন বুঝেছিল সেদিন,
যেদিন সম্পর্কের শেষ সেতুতা ভেঙ্গে পড়ল পশ্চিমি হাওয়ার দাপটে।
এতগুলো বসন্ত ফল- শুধুই একরাশ শূন্যতা,
নিজের মত করে জীবনকে দেখার দাবীতে দুজনে আজ এতটাই দূরে যে,
চাইলেও আর এক হওয়ার কোন পথ নেই।
একের খোলা জীবনের উন্মাদনা তো আরেক জনের চির বদ্ধতার সন্তুষ্টি।
ভোগের আগুনে একজন যখন ব্যস্ত, অপর জন তখন ত্যগের চরম তপস্যায় ব্রতী।
ঘৃণা বা ভালোবাসা নামক উপাদানটিকে মাপার যন্ত্র থাকলে বলা যেতে পারত, দুজনের মধ্যে কে বেশী এগিয়ে।
প্রবৃত্তি বনাম নিবৃত্তির বিবাদের একেবারে অন্তিম লগ্নে,
যখন সাদা ফুলে বাধা দেহটি আস্তে আস্তে ঢেকে যাচ্ছিল সোনালী আগুনের চাদরে,
ফেলে আসা দিন গুলিকে সাক্ষী করে ‘মন’ চেয়ে ছিল ছুটে গিয়ে আগুনে ঝাঁপ দিতে,
সময়ের কাছে সে দাবী করেছিল দেহের সাথে সহমরণের।
শুধু ‘মন’ নয়, চিতার আগুণে ছাই হওয়ার আগে ‘দেহ’ও সময়ের কাছে ভিক্ষা চেয়েচিল,
‘মন’কে বুকে ধরে আর এক বার বেঁচে ওঠার কথা বলেছিল সে।
কিন্তু, সময়! সে তো মহাকালের কঠর নিয়মে বাধা,
কাউকেই সে সুযোগ দেয়নি,
সময় দুজনের উদ্দেশ্যে একই কথা বলেছিল,
“অতীতকে শুধুই ভাবা যায়, কিন্তু পাওয়া যায় না”।