প্রতিবিম্বকে সুখ ভেবে একদল লোক
যতটা না করেছিলো নষ্ট সময়,
তার চেয়ে বেশি দিন চলে গেলে
তারা বুঝেছিলো, সুখী কিছু নেই
সব আলো নিভে গেলে আমিও জেনেছি
ওটা কেবল প্রতিবিম্বই ছিলো।
স্বতঃসিদ্ধ সুখে বিশ্বাসী যারা
তারাও একদিন মৃত হয়ে যাবে,
বাহ্যিক কিংবা বস্তুগত যা কিছুই হোক
অস্তিত্ব চলে গেলে সুখী কিছু নেই,
অতঃপর মলিন হাসিতে
যা কিছুই দেখা যাক,
আমি সুখ দেখিনি।
কেউ কেউ ভেবেছিলো তবু
সুখের সঠিক রাস্তায় তারা
প্রচ্ছন্ন নিবিড় যাত্রায় ক্রমাগত ধাবমান,
ভেবেছিলো ভালোবাসা সেই সুখকেই
এনে দেবে কাছে-
এনে দেবে হাসিমুখ, সন্ধ্যাতারা
ঢেউ, পর্বত, সূর্যাস্তের মত ম্লান আলো।
অথচ জেনেছে বিনিদ্র প্রহর
সুখ বলে কিছু নেই, কিংবা ছিলো
উদ্দেশ্যহীনতার জালে ফেঁসে গ্যাছে।
নিজেদের সুখী বলেছিলো যারা
তারাই শেষে,
জীবনের অর্থ নিয়ে সন্দিহান।
এইসব সুখের সংজ্ঞায়
আমিও মানুষ চিনেছি,
বুঝেছি মানুষ হলে সুখী হতে নেই
সুখ ছুঁতে গিয়েই যদি পুড়ে যাবে হাত,
সেই আশঙ্কায়-
আমিও আজকাল সুখী হতে ভয় পাই।