তিমিরাচ্ছন্ন আঁধার রাত
দূরে কোথাও প্রদীপ শিখা জ্বলছে
চলেছি গাছের তলা দিয়ে
চলেছি বিপ্লবের কাজে,
তখন ভারত ইংরেজ শাসিত
দিকে দিকে বিদ্রোহের আগুন জ্বলছে
পথের মোড়ে মোড়ে ইংরেজ সেনার ক্যাম্প
বিপ্লবীদের খুঁজে বেড়াচ্ছে;
মহানায়ক রাসবিহারীকে ধরতে হবে
তাই রাস্তায় চলা সন্ন্যাসীদের হাত দেখাচ্ছে।
একদিন এক সন্ন্যাসী রাস্তায় চলে যাচ্ছিল
ইংরেজ সেনা তাকে ধরল
ক্যাম্পে নিয়ে এল
হাত দেখিয়ে বলল, "আমি কি রাসবিহারীকে
ধরতে পারবো?"
ধরলে আমার পদমর্যাদা বাড়বে
তোমাকেও আমার পার্টিতে শামিল করব "।
খানিক ভেবে সাধু বলল," তুমি তাকে পাবে
ধরে রাখতে পারবে কি না ভগবান বলবে।"
শুনে সেনা হল অতি আনন্দিত
ভাবে একবার ধরতে পারলে
যেতে দেবো না হব না মিছে শঙ্কিত।
খুশি হয়ে পারিশ্রমিক নিয়ে সাধু চলে গেল,
একটু পরে "ঐ সাধুই রাসবিহারী"
স্পাইয়ের মুখে শুনল।
রাসবিহারী অতি চমৎকারী
ছদ্মবেশে চলে যায়,
ইংরেজ সেনা শতবার ধরতে আসে
বিফলতাই পায়।
এই মহানায়ক ভারতীয় ফৌজগড়ে জাপানে
স্বাধীন ভারতের অভ্যুত্থানের বীজ বপন করে,
পরে সেই ফৌজ "আজাদ হিন্দ ফৌজ"
নামে বিশ্ব বিখ্যাত হয়,
নেতাজি সুভাষ তার নেতৃত্ব করে
ইংরেজ শঙ্কিত হয়।