তাকিয়ে ছিলাম দূরে বহু দূরে
পাহাড়গুলো ঝাপসা অন্ধকারে
মাঝে মাঝে তাল গাছের সারি
তার পাশে ছোট্ট একটা নদী।
সে দৃশ্য এখন বদলে গেছে
উন্নয়নের ঝোঁকে;
চারিদিকে শুধু কলকারখানা
বিসদৃশ ঠেকে।
সেইখানে মাঠের ধরে রাখাল বালক
বাঁশি বাজায়
সেই বিষাদ গানের করুন সুরে
হৃদয় ভরে যায়।
আসতে যেতে রাজকন্যা
বাঁশির সুরে মু6 হয়ে যায়;
রাখাল বালক রাজকন্যাকে
বাঁশি বাজাতে শেখাল
ভালো লাগার বন্যায়
ওরা ভেসে গেল।
একদিন এল এক রাজকুমার
রাজকন্যাকে নিয়ে গেল;
যাবার সময় রাখাল বালক
বাঁশিটি তার দিয়ে দিল।
অন্ধকার নেমে এল রাখাল
বালকের চোখে
বাঁশি আর বাজে না ঘনঘোর দুঃখে।
সে নেই তাই কেউ নেই
আর কখনো দেখা পাবে না;
তাই রাখালের ‌মন মানে না
খাওয়ায় রুচি ছিল না।
মাঝে মাঝে স্বপ্নে বাঁশি বাজে
ধড়ফড়িয়ে ওঠে;
ঘরের আঁধার বিদ্রূপ করে
অট্টহাসি হাসে।
এক রাত্রে তার দুয়ারে
বিষাদের বাঁশি বাজল
সে তো স্বপ্ন ছিল।
কিছু পরে তার দুয়ারে
আবার বাঁশি বাজল
বাইরে এসে দেখল দূরে
সেই আওয়াজ শোনা গেল।
তার পেছনে চলতে চলতে
রাখাল বালক  হারিয়ে গেল।