চলে গেছো তুমি,
শত সহস্র ক্রোড় পথ পারি দিয়ে
যোজন যোজন দূরে,
হারিয়েছো চিরতরে।
তবে যে বলেছিলে -
বিপরীতার্থক হয়ে থাকবেনা তুমি,
এক হয়ে মিশবে নদীর গহীন সীমানায়,
সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত -
ভাসবে সুখর ভেলায়।
তবে কি সেই সবই ছলনা!
নিছক কাব্য রচনা!
না,ভুল তোমার ছিলোনা,
আমিই যে বড্ড উচ্চাকাঙ্ক্ষী ;
তাই তো সব হারিয়ে -
আজ হৃতসর্বস্ব আমি।
তাই তো তোমার আকাশ আজ-
তারা ভরা,উজ্জ্বল, আলোকিত।
আর আমার-
অন্ধকারাচ্ছন্ন,শুন্য,রিক্ত।
বলেছিলাম,সাঁতার জানিনা আমি,
ভরসা দিয়েছিলে আমায়,
হাত ধরে নিয়ে এসেছিলে নদীর মাঝখানটায়!
আজ এই গহীন মোহনায়-
একা হাতরাচ্ছি আমি,
কই?কোথাও নেই তো তুমি!
তবুও ডাকবোনা তোমায়,
যে হাত ছেড়ে চলে গেছো -
একবারের জন্যও বলবোনা
সেই হাত ধরে ফিরিয়ে নিতে আমায়।
এই বৈরি অপ্রতুল ধরার -
নিষঙ্গ সমরে,
কখনো ডুববো,কখনো ভাসবো,
হয়তো কখনো হারিয়েও যাবো-
চিরতরে।
তবুও রয়ে যাবো তোমার আড়ালে
অগোচরে,তোমার হিয়ার নিভৃতে, অন্তরালে।