যাহা পানে চাহি আজি
বন্ধুর তাহা তিমির বিষম,
যাহা পানে ধাই, ঝাঁজি-
মার্গ কণ্টকাকীর্ণ নির্মম।

জীবের সাথে জীবের প্রেম,
ছাড়িয়ে চলে আসমান-জমিন,
হিংসা, দ্বেষ, ভয়, উল্লাস,
কেড়ে নেয় প্রোষিতভর্তৃকা কমিন।

হে খোদা যাইব কোথা?
বিচূর্ণ হইয়াছে মোর সংসার গাঁথা।
আমার সহিত থাকিয় ও-মোর প্রভু,
আমার হস্ত আগলে রাখিয় পরম ঋভু।

বিষণ্ণতার মেঘ ছাইয়েছে আজি বড্ড ক্লেশকর,
তোমা পানে আশ্রয় মাঙ্গে তোমার এই ক্ষুদ্র কিঙ্কর।
হে অনন্ত-অক্ষত,
দো-জাহানের প্রভু,
আলোকিত করো, রাস্তা দেখাও,
সঙ্গ ছেড়ো না কভু।

হে দ্যুতিমান,
তোমার দ্যুতিতে ভরাইয়া দাও আপন মন,
তোমার কিরণে ভরাইয়া দাও মম প্রাণ,
তোমার দীপ্তিতে দীপ্যমান করো মোর পথ।
হে নূরের মালিক নূর-এ-খোদা, প্রভু রোশনাই;
তোমার স্বীয় নূরে অবগাহন করাও আমায়।

হে চির ভাস্বর, শাশ্বত খোদা,
মার্জনা করো ভুল-ভ্রান্তি, পাপ-তাপ, যত ক্ষত।
আলোকিত করিও রথ যেন মৃত্যুর পর,
মোর আত্মা দেখিতে পারে পথ।

ইহা তোমার নূরের-ই মহত্ত্ব,
তাই বিশ্ব-জাহানে রহে না নিশীথ অন্ধত্ব।
ইহা তো তোমার-ই নূরের মহত্ত্ব,
যাঁহার রেহনুমায় প্রতিটি দোয়া বান্দার হয় চমকিত।

তোমার নূর-ই চেতনা,
তোমার নূর-ই করুণা,
তোমার নূর-ই গরিমা,
তোমার নূর-ই মায়া।
তোমার নূর, শুধু তোমার নূর,
নূর, নূর এবং নূর।