বহি যত শব্দ কত, কখনো সখনো
হোক না অশ্রুত। স্বীয় সত্তার ধ্বনিত
আধান আসুক ফিরে; কান পেতে রই
মনের শব্দ হয়ত আবার শুনবো।
পাই না শুনতে কভু, শোনা যায় শুধু
পরম নিস্তব্ধ কিছু, হাঁটে পিছু পিছু।
স্বীয় আঁখি হোক বন্ধ, কখনো সখনো
অদেখা করি জগত। মনের গভীরে
চলে বায়োস্কোপ, যায় না দেখা কিছুই
গাঢ় অন্ধকার আর লাল-নীল-সাদা
অলীক রশ্মি ছাড়া। শূন্য মানসপটে
আসে না কেউ আর, বাহ্যত রুদ্ধ কারা।
কখনো সখনো বাতচিত করি স্বীয়
অহং প্রতি; নানান কথার তুবড়ি
ছুটাই। গড়গড়িয়ে, ফ্যাঁচফেঁচিয়ে
উগড়ে দেই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ভাবাবেগ।
আসে না কোন জবাব, কোন প্রত্যুত্তর;
প্রতিবিম্বিত হয়না কোন আধান।
কখনো সখনো মনে হয় ভেতরের
আমি, আর বুঝি নেই; ফাঁকা দীনহীন
যা অবশিষ্ট রয়েছে, তা আর যা হোক
'আমি' নই। নিজের কাছেই আমি আজ
প্রচণ্ড অচেনা, বড্ড বেমানান, বড়
প্রশ্ন এক। আমি কে? মহাশূন্য প্রাণ, এক?