দৌঁড়ুচ্ছি মস্তিষ্কের ধূসর মেমব্রেনে-মেমব্রেনে
লুকানো কাড়ুনের ধন থাকে এই নীপবনে
অকস্মাৎ কাঁপুনি ওঠে হাইপোথ্যালামাস-টায়
নেই আশা-আকাঙ্ক্ষা, দিন শুধু আগ বাড়িয়ে যায়।
দৌঁড়া, লাফ দে দূরে, নয়ত পরবি আস্তাকুড়ে
হয় এক লাফে তাল গাছের মাথা, না হয় শোক গাঁথা
লেখা হবে না বন্ধ, থাকে যদ্দিন স্কন্ধ
ব্যর্থ পৃথিবীর অর্থ চাই, সবাই যখন অন্ধ।
লাভের হিসাব জাবেদা খাতায়
জোবেদা বিবি সাহেব বাঁধায়
সাহেবজি নামের ইশকাপনে
গোলাম বাবাজি হুঁকো টানে
আর জানালা দিয়ে বাইরে দেখে
ঐ গ্রামের বধূ কলসি কাঁখে।
দূরে দেখা যায় ঐ নীল পদ্ম
পদ্ম মাঝে শনির বন্ধুত্ব
দ্যুলোকে খোঁজে আপন নিলয়
ছিন্ন করে বসুধা বলয়
দেখা যায় বড় উল্কাপিণ্ড
পিণ্ডের মাঝে পিণ্ডি! দানভণ্ড।
কড়া জ্বালে ভাজা লাচ্ছা সেমাইয়ের আসছে ঘ্রাণ
চন্দন কাঠ, ভঁইষা ঘি মুখাগ্নিই কী শেষ পরিত্রাণ?
ঘন দুধে ভাসছে শাদা এলাচের কালো বিচি
পেস্তা বাদামের শরবতে নেই কোন অরুচি।
এলোমেলো গোল গোল এলাচ ভাসছে দ্বীপের মতন
সাঁতরাচ্ছি অনেকক্ষণ হলো, উঠবো পাড়ে কখন?
সারাটা গা ম-ম করছে দুধের গন্ধে
বাইরের দরজায় কে যেন ঐ কড়া নারে,
ডিঙ্গিয়ে দরজা এলো শুভ্র শাদা মেঘ
শাদা মেঘ আমার বিছানার চাদর টানে,
যেথায় আমি অঘোরে ঘুমচ্ছি আর ছুটছি
মস্তিষ্কের ঐ ধূসর মেমব্রেনে মেমব্রেনে।