হয়তো আর কখনোই দেখা হবে না আমাদের,
সেই প্রথম দেখার নিরুপম স্মৃতি-
নোনতা করে তোলে অধর ভেজা জল,
সেই বর্ষণমুখর সন্ধ্যায় প্রতিটি বিন্দুর স্পন্দন
শিহরণ জাগিয়ে তোলে মনের একান্ত অলিন্দে,
তোমার হাতের স্পর্শ আমার হৃদয়ের গভীরে ঘটায়
পারমাণবিক বোমার ঐকান্তিক বিস্ফোরণ।
অজপাড়াগাঁয়ের আঁকাবাঁকা মেঠোপথের আল ধরে,
সেই ভেজা মাটির ঘ্রাণমাখা অনুপম মুহূর্তগুলো
আচমকা উঁকি দিয়ে যায়,জীবনের উৎসবমুখর প্রহরে,
হাতে হাত ধরে অচেনা পথের নাবিকের মতোই নির্বাক
তালঝরা দীঘির সন্ধ্যামালতী ঘেরা ঘাসফুল গালিচায়
সন্ধ্যার উলুধ্বনি আর ধুপকাঠির সৌরভ ছড়ানো উঠোনে
আমাদের চোখ ভরা নীরবতায় উদয়ারম্ভ হয়েছিল
শরতের শুভ্র মেঘের ভেলা সাঁঝের আকাশে।
আমাদের হয়তো আর দেখা হবে না কখনোই
উৎসবের কোলাহল পেরিয়ে অজানা গন্তব্যে তরী ভাসিয়ে,
যে ভাবে নিরুদ্দেশ হয় ভুল কম্পাসের ভুল নির্দেশনায়।
গল্প ফুরিয়ে গেলে যেভাবে জনশূন্য হয়ে যায়
রঙ্গমঞ্চের ঝিলমিল আলোর মিছিল নীরব অন্তরালে,
পর্দার আড়ালে মুছে যায় জীবনের সব উদীপ্ত রঙ।
বেপরোয়া অস্থির কথোপকথন থেমে যায় যে ভাবে-
যাপিত জীবনের নির্মম সামাজিক বাধ্যগতায়।
আমাদের আর দেখা না হলেও কোনো সূর্যমুখী বিকেলের
নরম রোদের ডানায় উড়ে মিলিত হবো স্বপ্ন ডাঙায়।
হয়তো যোগাযোগ থাকবে আমাদের আধুনিক এ যুগের-
ভার্চুয়াল টেলিগ্রাম ও ইনবক্স- এর মাধ্যমে।
সত্যি,তাঁদের অদৃশ্যের ভালোবাসা খুবই অসাধারণ হয়,
যাঁদের আপন করে কাছে পাওয়া কখনোই ভাগ্যে থাকে না।
__________________
স্মৃতির সরণি ধরে-৩১/১০/২০২৪
ঢাকা মিরপুর থেকে প্রকাশিত
© Copyright সংরক্ষিত ®