হয়তো অনেক শতাব্দী বাঁচবো বলে এভাবেই
হাঁটছি পৃথিবীর নির্মম অন্ধিসন্ধির বুক জুড়ে নির্বিকার,
অনন্ত কাল নির্ঘুম কেটেছে আমার রজনী,
এবার আমায় একটু অবসর দাও আমি ঘুমোতে চাই।
জীবনের আয়নায় হাসে প্রতিবিম্বের এক বৈদগ্ধ্য রহস্য,
কতো ভাবেই করেছি স্বপ্ননীল আগ্রহের বর্ণনা,
যখন ধ্রুবতারা জ্বলজ্বল করে মনের শ্রান্ত গগনে,
নির্মম নখরাঘাতে জ্বলে উঠে আমার হৃদয়।
সময়ের তর্কশাস্ত্র মুখস্ত করতে করতে আমি আজ পরিশ্রান্ত
নরক বৃক্ষের ছায়ায় খুঁজি অবিরাম প্রশান্তির নিঃশ্বাস
নিদারুণ সুন্দর পাপ করেছি আনন্দের রঙ্গমঞ্চে,
হে সময়ের ঈশ্বর তুমি শাস্তি দাও আমায়,
একলা আমি, দম ছেড়ে বাঁচি দীর্ঘশ্বাস কিনে।
অন্তহীন ভ্রান্ত যাত্রায় মগ্ন অবিরাম এই যোগীমন
অদৃশের অভিনন্দিত স্রষ্টার দৃঢ়তায় কল্কি অবতারণায়,
ক্ষারকীয় অধিকার চায় চোখে ভয়হীন চাহিদা নিয়ে।
ব্রহ্মাণ্ডের ব্রাহ্মণ তুমি গড়ে দাও গোচর সম্বলিত সময়ের দর্পণে
আয়নার প্রতিচ্ছবিতে ভেসে উঠুক কালো রক্তের অনুরণন
আসন্ন সময়ের সন্তান প্রসবা পৃথিবীর সিক্তকরণ পরমাণুতে
এই সৌর জগতের নাড়ি ছিঁড়ে জন্মনিক এক সূর্যপুরুষ।
_______________
রচনা: শ্রান্ত বিকেল ৪.১৫ মিনিট
০১ মার্চ বুধবার ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ
১৬ এ-ফাল্গুন ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
০৯-ই শাবান ১৪৪৪ হিজরী
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে
©️ Copyright সংরক্ষিত ®