নর্দমার পাশে শুয়ে আছে মাদক আক্রান্ত এক যুবক।
তার ছেঁড়া ময়লা পোশাক,
শরীরের বিকট দুর্গন্ধে সবার নাকে হাত,
পথচারীরা তাকে দেখে কেউ ঘৃণায়,কেউ করুণায়,
কেউ আবার গালিগালাজও করে যায়।
কিন্তু তার মুখের কথা কেউ বুঝে না,কেউ চেষ্টাও করে না।
কৌতূহলী হয়ে আমি তার সাথে সখ্যতা গড়ে তুললাম,
গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করলাম তাঁকে,
তার বাদামী চোখের মণি বলে দেয়, সেও একদিন প্রেমিক ছিল,
প্রেমিকার হাতে হাত রেখে সৈকতে হেঁটে বেড়াতো,
প্রেয়সীর কোলে মাথা রেখে আবৃত্তি করতো অনেক কবিতা,
আগামীর প্রতিশ্রুতি দিতো প্রেমিকার চুলে হাত বুলিয়ে,
দুবাহুর মধুর আলিঙ্গনে জড়িয়ে দেখতো ভবিষ্যতের স্বপ্ন,
এভাবেই কেটে যাচ্ছিল তাঁদের প্রেমের সংসার।
হঠাৎ একদিন !!!!
তার সেই প্রেমিকা অন্য কারো হাত ধরে পাড়ি জমায় প্রবাসে,
হয়তো'বা বাধ্য হয়ে, হয়তো নিজের ইচ্ছায়,
প্রেমিক ভাবলো সে এই অপমানের প্রতিশোধ নিবে,
এই প্রতিশোধ তার নিজের সাথেই,
ভুল করে ভুল মানুষকে ভালোবাসার ভুলের প্রতিশোধ,
এভাবেই পৃথিবীর সব কিছু ভুলিয়ে,
এমনকি নিজের অস্তিত্বও ভুলিয়ে পড়ে থাকে নর্দমার পাশে,
আমি অশ্রুসজল চোখে ভাবি এ কেমন প্রতিশোধ।
_______________________
রচনা'কাল: তপ্ত হলুদ সকাল ১০.৪৫ মিনিট
১৩ মে সোমবার ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে প্রকাশিত
সংশোধিত ও পরিমার্জিত
© Copyright সংরক্ষিত ®