বসন্তের প্রথম কুমারী বৃষ্টি ছুঁয়ে দিলাম দু'হাতে
হৃদয়ের আনাচে কানাচে স্নিগ্ধ কোমল বিন্দুগুলো
অসীম আনন্দের মাদল বাজিয়ে অবিরাম নৃত্যে
মুখরিত করে গেলো পলাশ ঝরা সোনালী বিকেল।
বিহঙ্গেরা আকাশ মেঘের প্রণয়ের আশীর্বাদ দিয়ে
কৃষ্ণচূড়ার ভেজা শাখায় চাতকের আনন্দ আলিঙ্গনে
কদম ফুলের পাপড়ির সৌরভে মাতোয়ারা দোয়েল
টিনের চালে নূপুর বাজিয়ে নেমে আসে ভ্রমর গুঞ্জন।
শত দিনের পিপাসিত পাতাগুলো খুশিতে আত্মহারা
ফোঁটায় ফোঁটায় জীবন ভরে তাদের করেছে সজীব
শান্ত বাতাসের বুকে মায়াময়ী কোমলতার আবির্ভাব
মমতা মাখা মাটির সুগন্ধ হৃদয়কে করেছে প্রফুল্ল।
দিগন্তের বিস্তৃত মাঠের বুকে কত স্বপ্ন এঁকে গেলো
মেঠো পথের দু'ধারের ঘাসে উল্লসিত দোলা দিয়ে
নিভৃত জানালায় দাঁড়িয়ে হাত বাড়িয়ে বাতাসে
নীলিমার বিশালতায় নিজেকে মিশিয়ে একাকার।
________________
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ এথেন্স গ্রীস
© Copyright সংরক্ষিত ®