সেদিন শীতের হিম রাত্রির মৌনতায়
আমাদের ঠোঁট অতীত এবং একবিংশ শতাব্দীর
সমস্ত প্রেম নিয়ে জেগেছিল।
বহুরাত ঘুমের পর যেমন জেগে ওঠে শিশু,
পৃথিবীর আলোয় রাখে তার অনভিজ্ঞ পবিত্র চোখ,
তেমনি তোমার অনুচ্চারিত শরীরের ভাষা
শতাব্দীর সমস্ত নিষেধাজ্ঞা অতিক্রম করে
বিদগ্ধ হৃদয়ের গলি পেরিয়ে রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রেম জাগিয়ে,
আমাকে শিখিয়েছিল কি করে ভালোবাসতে হয়।
অতঃপরে সময়ের বিদীর্ণ করাঘাতের দাপটে
নদীতে স্রোত থেমে গেলে অনন্ত তৃষ্ণারা বিমূর্ত হৃদয় নিয়ে
অবচেতনে ডুবে যায় বিধ্বস্ত নক্ষত্রের মতো।
যখন রাত নামে আকাশে বুকে লালিমা ঢেকে,
কালো মেঘ দেখে নিজেকে ভীষণ অসহায় মনে হয়,
ধীরে ধীরে কষ্টের সাথে নিবিড় ঘনিষ্ঠতা বাড়ে,
বিরামহীন ভাঙনের তালে একাকিত্ব নাচে।
সময়ের দর্পণে দাঁড়িয়ে ভাবি-
এতো সুখ ও ব্যথা এসব একান্ত অর্জন আমার।
মনে মনে বলি হে নারী-
ঈশ্বর তোমাকে দিয়েছে অঢেল রূপের ঐশ্বর্য,
আর পুরুষকে দিয়েছে অপেক্ষার নির্বাক অহঙ্কার।
_____________________
রচনাকাল ১৫ সেপ্টেম্বর ১০.৩০ শুক্রবার
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে প্রকাশিত
সংশোধিত ও পরিমার্জিত
© Copyright সংরক্ষিত ®