নিস্তব্ধ সময়ের ক্রোনোমিটার বাজে,
সিলিকনের হৃদপিণ্ডে প্রবাহিত হয়
আলোর গতিতে ছুটে চলা তথ্যের স্রোত।
মানবিক সংবেদনশীলতা, এক আর্কাইভ—
কোনো সুদূর সার্ভারের ধুলোবসা কোণে,
যেখানে সত্তার সংজ্ঞা হয়ে গেছে
শুধু এলগরিদম আর ডাটা পয়েন্ট।
গগনচুম্বী স্বপ্নেরা মেট্রোপলিসের ব্যস্ত শিরায়,
গ্লাস আর ইস্পাতের প্রতিসরণে
ছায়াহীন হয়ে যায় বেঁচে থাকার সংজ্ঞা।
পৃথিবী নামক এই ব্লু-গ্রিন গ্রহ—
এক স্নায়ুযুদ্ধের পরিত্যক্ত শেলফ,
যেখানে জাতিসত্তার সংজ্ঞা মুছে গিয়ে
পরিণত হয়েছে এক ভৌগোলিক পিক্সেল মাত্র।
তবু কি মানুষ হারিয়েছে তার প্রজ্ঞা?
নাকি স্মার্ট স্ক্রিনের স্পর্শ-সংবেদী কাচে
বিবর্তিত হয়েছে তার চিন্তার বিন্যাস?
প্রশ্নগুলো এখন আর দার্শনিক নয়,
এগুলো বিগ ডেটার কোয়ান্টাম সম্ভাবনা,
এগুলো এআই-এর ভাষাগত মডেল,
যারা গড়ে তোলে সত্যের সীমিত বাস্তবতা।
তবু, কোথাও হয়তো রয়ে গেছে
সেই অনন্ত মানবিক রূপকথা—
যেখানে এক চিলতে নীল আকাশের নিচে
কেউ এখনো নিজ মাতৃভাষায় কবিতা লিখে,
কেউ এখনো সন্ধ্যার বাতাসে শোনে
নিঃশব্দ আকাশের সংজ্ঞা।
আমার বিচলিত মনের প্রশ্ন,
একবিংশ শতাব্দী-
তুমি কি মানুষকে যান্ত্রিক রোবট বানাবে,
নাকি রোবটদের অনুভূতিশীল মানুষ?
_______________________________________
রচনা'কাল: ছুটির সন্ধ্যা ৮.5০ মিনিট
২৫-এ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে প্রকাশিত
সংশোধিত ও পরিমার্জিত
© Copyright সংরক্ষিত ®