প্রথম যেদিন তার সাথে দেখা।
মলিন মুখে জিজ্ঞাসা করলো কেমন আছো?
ভাবলাম হয়তো সে খুব কষ্টে আছে
হেসে বললাম ভালো নেই সময়ের পাঁজরে
একাকীত্বের দংশনে দগ্ধ প্রতিনিয়ত
মুচকি হেসে বলে অনেক ভালো থেকো তুমি।
কয়েক দিন পরে আবার দেখা।
জানতে চায়, আচ্ছা তুমি কি কাউকে ভালোবাসো
মনে হলো হয়তো আমাকে তার ভালো লেগেছে
বললাম আঁচলের অলিন্দে জড়াতে চাই
তপ্ত নোনা জল মুছে দিয়ে কপোলের আঙিনায়
অনন্ত বাসনা পূর্ণতা পাক প্রত্যাশার দ্বারে।
একদিন দেখা হলো রংতুলি হাতে।
প্রশ্ন করে তুমি কি রঙের খেলা খেলতে পারো
ভাবলাম হয়তো জীবন তার রঙহীন
বললাম রংধুনুর সপ্তবর্ণা আল্পনা একে'দেই জীবনে
একমুঠো প্রেমের আবীর মাখা দীপালী সন্ধ্যায়
অবাক নয়নে বলে জ্যোৎস্না ঝরুক মনের উঠোনে।
আবার দেখা এক দিন খোঁপায় গোজা ফুল।
কাছে এসে বলে দেখত কেমন লাগছে আমাকে
ভাবলাম হয়তো আমার আকর্ষণ চাইছে
হাত ধরে বললাম, বুকের উষ্ণতা অনুভব করতে চাই
কাঁপা অধর যুগলের প্রাণবন্ত চুম্বনে হারিয়ে
মধু কণ্ঠে বলে আসুক এমন প্রণয়ের রাত জীবনে।
শেষবার দেখা হলো হাতে তার চিঠি।
নির্বাক নয়নে কাছে এসে আলিঙ্গনের মুগ্ধতায়
চোখের পালকে মুক্তোদানা আর কাজল একাকার
নতশিরে বলে আজ আমি মুক্ত ঘুচিয়ে যাপিত লেনদেন
সময়ের যবনিকা টেনে পেরিয়ে জীবনের তেপান্তর
চলো যাই আজ দু'জন মিলে হয়ে যাই দেশান্তর।
ওটা চিঠি নয়, ওটা তার বিবাহ বিচ্ছেদের নথী
সময়ের দর্পণে দূরে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া
নির্মম ভালোবাসার শংসাপত্র।
__________________
রচনা: হিমঝরা সন্ধ্যা ৮.৩৫ মিনিট
৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ
২২-এ মাঘ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
৪-ই রাজাব ১৪৪৩ হিজরী
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে
©️ Copyright সংরক্ষিত ®️
Write to একজন লেখক